Today Is- Wednesday-14 May 2025

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় নিউইয়র্কে বাংলা ব্লকেড ইউএসএ’র আনন্দ মিছিল, সমাবেশ (ভিডিও সহ)

নিউজ২৪ইউএসএ.কম ডেস্ক , নিউইয়র্ক : ‘জঙ্গি সংগঠন এবং মানবতা ও গণতন্ত্রের দুশমন হিসেবে আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিষিদ্ধ এবং ফ্যাসিস্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি’ দাবিতে ১২ মে সোমবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে বাংলা ব্লকেড ইউএসএ’র উদ্যোগে এক আনন্দ-সমাবেশ হয়েছে।
জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার্সিটি প্লাজায় অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলা ব্লকেড ইউএসএ’র সভাপতি ও বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিন ভুঁইয়া এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ মাহমুদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রিয় নিবাহী কমিটির সদস্য আবদুল লতিফ সম্রাট, বিএনপির কেন্দ্রীয় নিবাহী কমিটির সদস্য গিয়াস আহমেদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নিবাহী কমিটির সদস্য জিল্লুর রহমান জিল্লু, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল।
আরো উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা আব্দুর সবুর, গিয়াস উদ্দিন, মোশারফ হোসেন সবুজ, আবু সাইদ, ইবাদ চৌধুরী, জাহাঙ্গীর হাসান, খলকুর রহমান খলকু, আনোয়ার হোসেন পলাশ, জিয়াউর রহমান মিলন, আল মামুন সবুজ প্রমুখ ।
এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহিত পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগানের পাশাপাশি প্রবাসীদের প্রতি আহবান জানানো হয় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী তৎপরতার তথ্য আন্তর্জাতিক বন্ধুদের অবহিত করার জন্য।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর নিউইয়র্কের এই সমাবেশ থেকে আনন্দ মিছিল এবং প্রবাসীদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণও করা হয়।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের খবরে নিউ ইয়র্কে মিষ্টি বিতরণ
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার খবরে নিউ ইয়র্কে মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১০ মে) সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসে ডাইভার্সিটি প্লাজায় ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-আন্দোলন’-এর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর নেতা আব্দুল কাদের। অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য গিয়াস আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে মানবতাবিরোধী ও জঙ্গি সংগঠন। এরা স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী সংগঠন। এটি পরম সত্য যে, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি। আওয়ামী লীগের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ৭১ সালে পাকিস্তানি আর্মির কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। বাহাত্তরের ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশে ফেরার পর পচাত্তরে তিনি বাকশাল কায়েম করলেন। এসবই স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী। কারণ, একাত্তরের চেতনা ছিল গণতন্ত্র। সেই গণতন্ত্রকে তিনি হত্যা করলেন বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে।
তিনি বলেন, আবার শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে এরশাদের সঙ্গে আঁতাত করলেন, জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করলেন। শুধু তাই নয়, ১/১১ এর সঙ্গেও আঁতাত করেছিলেন। আর এভাবেই শেখ হাসিনাও প্রমাণ করেছেন যে তিনি একাত্তরের স্বাধীনতার বিরোধী।
গিয়াস আহমেদ বলেন, টানা প্রায় ১৬ বছর ক্ষমতায় থেকে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশের গণতন্ত্র হত্যা করেছিল। স্বাধীনতা বিরোধী কার্যকলাপ এবং গণহত্যার কারণে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়াটা যৌক্তিক ছিল। আওয়ামী লীগ হচ্ছে মানবতাবিরোধী সংগঠন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে জঙ্গি সংগঠন, এবং স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী সংগঠন। ।
এসময় নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো ছিলেন রিটা রহমান, এম এ সবুর, মনিরুল ইসলাম, দেওয়ান কাউসার, শাহাদৎ হোসেন রাজু, নীরা রাব্বানী, মো. হারুন মিয়া, হাসান সিদ্দিক, নূর আমিন, আবুল কালাম প্রমুখ।
বক্তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এখন সময় হচ্ছে ১৫ বছরের অপশাসনের দায়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের সমুচিত শাস্তি প্রদানের। সে অপেক্ষায় রয়েছে প্রবাসীরাও।

CATEGORIES
Share This

COMMENTS