আটলান্টিক সিটি থেকে সুব্রত চৌধুরী: আটলান্টিক সিটিতে গত ১৬ এপ্রিল মংগলবার সন্ধ্যায় ‘রাম নবমী’ উৎসব পালিত হয়েছে। আটলান্টিক সিটির প্রবাসী হিন্দু সম্প্রদায় এর উদ্যোগে ১৪১১ পেনরোজ এভিনিউ এর প্রার্থনা হলে বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ‘রাম নবমী’ উৎসব পালিত হয়। ‘রাম নবমী’ উৎসবের বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে ছিল পুজা অর্চনা, রামায়ন পাঠ, কথামালা, কীর্তন ইত্যাদি।
হিন্দুদের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব ’রাম নবমী’। চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের নবমীর দিন এই উৎসব পালিত হয়। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী ত্রেতা যুগে অযোধ্যার রাজা দশরথ ও রানি কৌশল্যার পুত্র হিসেবে রামচন্দ্র এদিনই জন্মগ্রহণ করেন। রামচন্দ্রের জন্মদিন উদযাপন করা হয় এদিন।
রাম নবমী উৎসবে পশ্চিম ভার্জিনিয়াস্থ নতুন বৃন্দাবনের ব্রম্মচারি শুভানন্দ দাস উপস্থিত থেকে কৃষ্ণভক্তদের কৃতার্থ করেন এবং রাম নবমীর মাহাত্ম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে রাম, বিষ্ণুর সপ্তম অবতার, ভগবান বিষ্ণুর মানবীয় রূপের প্রাচীনতম অবতার। তিনি মর্যাদা পুরুষোত্তম হিসেবেও খ্যাত।রাম নবমী পালন করার মূল উদ্দেশ্য হল অধর্মকে নিক্ষেপ করে ধর্মকে স্থাপন করা। মন্দ শক্তির বিনাশ করে শুভ শক্তির সূচনা করা।
ধর্মসভায় শুভানন্দ দাস ব্রম্মচারি আরো বলেন, ভগবানকে লাভ করতে হলে চাই আপন চিত্তশুদ্ধি। ভগবান ভজনেই চিত্তশুদ্ধি হয়ে থাকে। চিত্তশুদ্ধি ব্যতীত কখনও ভগবৎ দর্শন হয় না। আলোচকরা আরো বলেন, ধর্মচর্চা মানুষকে পরিশুদ্ধ করে এবং অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি সহনশীল হতে শেখায়। তাছাড়া ধর্ম নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ তৈরি করতে সহায়তা করে।
‘রাম নবমী’ উৎসবের বিভিন্ন আয়োজনে অংশগ্রহন করেন সুমন মজুমদার, দীপংকর মিত্র, তৃপ্তি সরকার, আন্না মিত্র, প্রদীপ দে, গংগা সাহা, উওম দাশ,দীপা দে জয়া, মেরি দে, পিকলু দাশ, সজল দাশ, জয়দেব কর্মকার, সেন্টু সরকার, বিউটি দাশ, বেবী দাশ, মিনু নন্দী, সজল চক্রবর্তী, ধীমান পাল, শুক্লা পাল, সুমি মজুমদার, রুমি মল্লিক, ঝুমুর দাশ, লাকী চৌধুরী, রানা দাশ, ক্ষমা সরকার, রেশমী বসাক, শান্তনু সরকার, সোমা বিশ্বাস প্রমুখ। রাম নবমী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনকারীদের মাঝে প্রসাদ বিতরন করা হয়।