টেক্সাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ড. সালমা ও তার স্বামী ডা. সাইফুল আহত, সন্তান অনিন্দ্য নিহত
নিউজ২৪ইউএসএ.কম ডেস্ক, নিউইয়র্ক : যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে ট্রাক ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষিকা ড. সালমা আক্তার (৩৩) ও তার স্বামী ডা. সাইফুল আমিন (৩২) গুরুতর আহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে তাদের ১১ মাস বয়সী একমাত্র ছেলে অনিন্দ্য। গত ২৮ মে মঙ্গলবার টেক্সাসের সান পাট্রিসিয় কাউন্টি শহরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ড. সালমা আক্তার স্থানীয় একটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। তার স্বামীও হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ড. সালমা আক্তার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। তিনি জাপানে পিএইচডি শেষ করে ২০২২ সালে পোস্টডকের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে যান। তিনি সেখানকার সান আন্তিনো শহরে স্বামী-সন্তান নিয়ে থাকতেন।
জানা যায়, কয়েকদিন আগে স্বামী-সন্তান নিয়ে ঘুরতে বের হন সালমা আক্তার। মঙ্গলবার বাসায় ফেরার পথে সান পাট্রিসিয় কাউন্টি শহরে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে চিকিৎসক ছেলে অনিন্দকে মৃত ঘোষণা করেন। পাশাপাশি সালমাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করে। এছাড়াও তার স্বামী ডা. সাইফুল আমিনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সালমার সহকর্মী ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানরত পপি দেবনাথ জানান, সালমার সঙ্গে আমার সব সময় কথা হতো। তিনি আমাকে জানিয়েছিল ঘুরতে বের হবেন। ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে তারা তিনজনই আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসক তার সন্তান অনিন্দকে মৃত ঘোষণা করেন এবং সালমাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করেন।
নোবিপ্রেবির অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ জানান, সালমা নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম ব্যাচের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তারপর ২০১৯ সালে জাপানে পিএইচডি করতে যান। সেখান থেকে পিএইচডি শেষ করে ২০২২ সালে পোস্টডক করতে যুক্তরাষ্ট্রে যান। ড. ফিরোজ আহমেদ বলেন, সালমার এমন দুর্ঘটনায় আমরা মর্মাহত হয়েছি। তার সুস্থতা কামনা করছি।
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম বলেন, সালমা আক্তারের শিশু সন্তানের মৃত্যু ও ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় আমরা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি। সালমা ও তার স্বামী সাইফুল আমিনের সুস্থতা কামনা করছি। আমরা সব সময় তাদের পাশে আছি।