আশরাফুল হাবিব মিহির : ভালোবাসা, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনে সিক্ত হলেন কিংবদন্তি ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন। কানাডা থেকে সস্ত্রীক নিউইয়র্ক সফরে এলে গত ২৩ মার্চ স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে আড়ম্ভরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একুশে পদকপ্রাপ্ত এই কিংবদন্তি ছড়াকারকে ছড়াটে-র পক্ষ থেকে সংবর্ধনা জানানো হয়।
নিউইর্য়কের কুইন্সের হিলসাইডে ছড়াটে-র নিয়মিত মাসিক ছড়াড্ডা ও ইফতারের আয়োজন থাকলেও সবকিছু ছাপিয়ে পুরো অনুষ্ঠানটি রিটনময় হয়ে উঠে। প্রিয় ও গুণী মানুষটিকে সস্ত্রীক কাছে পেয়ে উপস্থিত সকলে আনন্দে উদ্বেলিত হন। ছড়াকাররা ফুল দিয়ে তাঁকে অভিনন্দন জানান। একইসাথে ছড়াকারদের পত্নীগণ রিটন পত্নী শার্লি রহমানকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
লুৎফর রহমান রিটন এই আন্তরিক আয়োজনের জন্য ছড়াটে-কে ধন্যবাদ জানান। তিনি ছড়াটে-র সকল গঠনমূলক কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, আমি মনে করি আমিও ছড়াটে-র একজন সদস্য। ছড়াকারসহ বিশ্বজুড়ে অগণিত ভক্ত ও শুভাকাঙ্খী যারা তাঁকে ভালোবাসেন, পছন্দ করেন তারা তাঁর বর্ধিত পরিবার। মাতৃভূমি ও মুক্তিযুদ্ধের সাথে তাঁর আবেগ জড়িত। এই দুই বিষয়ে তিনি কারো সাথে আপোষ করেন না। তিনি যা ধারণ করেন সেটাই তাঁর কলম গলিয়ে বেরিয়ে আসে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁর কলম সবসময় সোচ্চার।
তিনি তাঁর লেখালেখির দীর্ঘ সফরের কথা বর্ণনা বলেন -একটা সময় তিনি চরম অর্থ কষ্টের মধ্যে দিন কাটিয়েছেন। সেই দুঃসময়ের শার্লি তাঁকে ছেড়ে যাননি, বরঞ্চ সামনে এগিয়ে যাওয়ার সাহস যুগিয়েছিলেন। এরপর তিনি উঠে দাঁড়ানোর গল্প বললেন। বিত্ত না থাকলেও চিত্তে কিভাবে সম্পদশালী হলেন তার গল্প বললেন। তিনি বলেন, এক জীবনে আমি শুধু ছড়াকেই ভালোবেসেছি।
রিটন পত্নী শার্লি বলেন, রিটন শুধু একজন ভালো লেখক বা ছড়াকার নন, তিনি একজন পরিবারবান্ধব লোক, ভালো স্বামী এবং ভালো বাবাও। যেকোনো মূল্যে তাঁকে লেখালেখি চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাগিদ দেন।
আন্তরিকতাপূর্ণ পারিবারিক আবহে রিটন-শার্লি দম্পতি মুগ্ধ হন। রিটন তাঁর জীবনের অনেক না বলা কথা শেয়ার করেন। ছড়াকার শাম্ স চৌধুরী রুশো-র পরিচালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রাবন্ধিক ও গবেষক আহমাদ মাযহার, গল্পকার নসরত শাহ, কবি মিশুক সেলিম, ছড়াকার মনজুর কাদের, ছড়াকার খালেদ সরফুদ্দীন, ছড়াকার সজল আশফাক, ছড়াকার শাহীন দিলওয়ার, ছড়াকার মানিক রহমান, ছড়াকার মিনহাজ আহমেদ, ছড়াকার আদিত্য শাহীন, ছড়াকার রিপন শওকত, ছড়াকার মৃদুল আহমেদ, লেখক-চিকিৎসক শিমুল সিকদার, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট লায়লা খালেদা, সাংস্কৃতিককর্মী সাঈদা উদিতা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, একই অনুষ্ঠানে কেক কেটে রিটন-শার্লি দম্পতির ৪৩ বছর বিবাহবার্ষিকী পালন করা হয়।