নিউজ২৪ইউএসএ.কম, নিউইয়র্ক : নিউইয়র্কে ব্রঙ্কসের খলিল বিরিয়ানী হাউজে গত শনিবার ৩০ মার্চ রাতে কমিউনিটির বৃহত্তম সেহরি পার্টি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি ছিল খলিল বিরিয়ানী হাউজের দ্বিতীয় সেহরি পার্টি। এর আগে ব্রঙ্কসের খলিল বিরিয়ানী হাউসে গত ২৩ মার্চ প্রথম সেহরি পার্টি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটা ভোজনবিলাসীদের মেলায় পরিনত হয়। রাত ২টায় শুরু হয় সেহরি খাবার পর্ব। ২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কয়েক দফায় মানুষের বসার ব্যবস্থা করা হয়। অনেকে টেবিল খালি হবার অপেক্ষায় লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কুইন্স ছাড়াও ট্রাই স্টেট থেকেও বেশ কয়েকজন কাষ্টমার এসছিলেন এই সেহেরির আস্বাদন নিতে। রোজাদাররা প্রসংশা করছিলেন খলিলুর রহমানের সুস্বাদু খাবারের। অনেকে টেলিফোন করেও রেষ্টুরেন্টের সেহরি পার্টির খোঁজ খবর নিচ্ছিলেন। টেলিফোন রিসিপসনিস্ট সিট খালি না থাকার কথা সবিনয়ে জানাচ্ছিলেন।
শেফ খলিলুর রহমান বলেন, সেহেরী অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহনের জন্য চায়নিজ রেস্টুরেন্টটি বিকেলেই পুরোটা বুকড হয়ে যায়। রাত ১২ টা থেকেই লোকজন এসে নিজ নিজ আসন নিচ্ছেন। বিরিয়ানী হাউস সেন্টার এবং চাইনিজ রেস্টুরেন্টের উভয় মিলনায়তন লোকজনে ভরপুর। সর্বত্র যেন একটা উৎসব বিরাজ করছে। নিউইয়র্কে এতও মানুষের সমাগমে আর কখনো সেহরি পার্টি অনুষ্ঠিত হয় নি।
অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য শেফ খলিল নিজেই রান্না করছিলেন। তিনি জানান, সম্মানিত মেহমানদের জন্য নিজের হাতে রান্না করে নিজেই সম্মানিত বোধ করছি। খাবারের মধ্যে ছিলো সাদা ভাত, পোলাও, চিকেন রোস্ট, চিলি চিকেন, চিকেন উইথ আলু, বিফ ভুনা, খাসির রেজালা, লাউ চিংড়ি, লট্য়া সুটকি, আলু ভর্তা, ডাল ইত্যাদি। এছাড়াও ছিলো রাইস পুডিং, দৈ, সন্দেশ ও নানা ধরনের ফলের সমারোহ। সাথে ছিল পানি ও চা। যত খাবেন মূল্য ছিল মাত্র ২০ ডলার। সেহরি পার্টিকে ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোন থেকেও জনপ্রিয় করে তোলা যায় তা দেখিয়ে দিলেন প্রেসিডেন্ট এওয়ার্ডপ্রাপ্ত খলিলুর রহমান। ইফতার পার্টি থেকে এখন তা রুপ নিয়েছে সেহরি পার্টিতে। খলিলের নাম ভোজনবিলাসী বাংলাদেশিদের মুখেমুখে।