আশরাফুল হাবিব মিহির : বন্ধু হলো আত্মার চিরসঙ্গী। "মিলি আত্মার টানে"—এই হৃদয়ছোঁয়া স্লোগানে উজ্জীবিত হয়ে চুরাশিয়ানরা একত্রিত হয়েছিল নিউইয়র্কের কুইন্সে, যেখানে বন্ধুত্ব আর সম্প্রীতির বাঁধন আরও দৃঢ় হয়েছে। থ্যাংকসগিভিংকে উপলক্ষ করে এসএসসি ১৯৮৪ ব্যাচ, নিউইয়র্ক ‘চুরাশিয়ান ফ্যামিলি ফান-টাইম’-এর বর্ণাঢ্য আয়োজন করে।
নিউইয়র্কের কুইন্সে হিলসাইডের একটি পার্টি হলে অনুষ্ঠিত এ আয়োজন চুরাশিয়ানদের জন্য এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। বিকেল থেকেই বন্ধু-স্বজনরা উৎসবের আমেজে সেখানে জড়ো হতে শুরু করেন, যেখানে উষ্ণতা, হাসি-আনন্দ আর স্মৃতিচারণে ভরপুর ছিল প্রতিটি মুহূর্ত।
কোরআন তিলাওয়াত ও গীতা পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। কোরআন তিলাওয়াত করেন নাসিরুল হক, আর গীতা পাঠ করেন দিপ্তী সেন। এর পরপরই বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ও আমেরিকার ন্যাশনাল অ্যান্থেম পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানে এ পর্যন্ত পরলোকগত সকল চুরাশিয়ানদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং তাঁদের আত্মার শান্তি কামনায় মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন সাঈদ মাহবুবুর রহমান লিপু।
এরপর সবার আন্তরিক অংশগ্রহণে নর্থ আমেরিকা চুরাশিয়ান গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা শামস চৌধুরী রুশোর রচিত 'চুরাশিয়ান থিম সং' পরিবেশিত হয়, যা সকলকে একত্রিত হওয়ার অনুভূতিকে আরও গভীরভাবে স্পর্শ করে।
থ্যাংকসগিভিংকে রাঙিয়ে তুলতে একটি বিশাল আকারের টার্কি কাটা হয়। স্মৃতিচারণ, আবৃত্তি ও কৌতুক পরিবেশনের পর, জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী হাসান মাহমুদ ও ঝুলন সেনের প্রাণবন্ত গানে, উপস্থিত সবাই উজ্জীবিত হয়ে ওঠেন। নাচ-গানের উল্লাসে মেতে ওঠা এই আনন্দঘন পরিবেশে পঞ্চাশোর্ধদেরও টগবগে তরুণ-তরুণী বলে মনে হচ্ছিল, যেন বয়স ছিল শুধু একটি সংখ্যা!
শেখ ইয়াসমিনের প্রাণবন্ত উপস্থাপনায়, এই আয়োজনে আরো সঙ্গীত পরিবেশন করেন দিপ্তী সেন ও রাব্বী সাঈদ, যা অনুষ্ঠানের পরিবেশকে আরও মনোমুগ্ধকর করে তোলে। উপাদেয় ডিনারের পর, আগত সকলের হাতে থ্যাংকসগিভিং উপহার তুলে দেওয়া হয়।