নিউজ২৪ইউএসএ.কম, নিউইয়র্ক :: জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে উৎসব মুখর পরিবেশে জাতিসংঘে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকগণ ও তাঁদের স্পাউজগণের অংশগ্রহণে, বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদযাপন করা হয়। মিশনস্থ বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে ২ জুলাই আয়োজিত এই আনন্দঘন অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে মিলনায়তনকে আবহমান বাঙালির সংস্কৃতির নানা উপাদানে সাজিয়ে তোলা হয়। ঢাক-ঢোল-একতারা, পালতোলা নৌকা, ডালা-কুলা, তালপাতার পাখা, নকশী কাঁথা, মাটির পুতুল, মাটির থালা-বাসন, কাঁচের চুড়ি, আলপনা ও নানা-বর্ণের ব্যানার-ফ্যাস্টুন-বেলুনে বর্ণিল হয়ে ওঠে বঙ্গবন্ধু মিলনায়তন।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের স্থায়ী মিশনসমূহের স্থায়ী প্রতিনিধি, কনসাল জেনারেল, সিনিয়র কূটনীতিক, জাতিসংঘের কর্মকর্তা ও তাঁদের স্পাউজগণ এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত এর সহধর্মীনি মিসেস রুবি পারভিন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বিদেশী অতিথিদের সামনে বাংলা নববর্ষের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার বিরবণ তুলে ধরেন। এসময় তিনি বাংলার অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজব্যবস্থা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার উপর আলোকপাত করেন যেখানে সকল ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের মানুষ সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির সাথে বসবাস করে। এই চেতনা ও সম্প্রীতিই, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অনুপ্রেরণা বলে তিনি উল্লেখ করেন।
নাচ, গান ও আবৃতির সমন্বয়ে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ছিল অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষন। নিউ ইয়র্কস্থ বাংলাদেশ একাডেমী অব ফাইন আর্টস এর শিল্পীবৃন্দ এবং স্থায়ী মিশনের কর্মকর্তাগণের পরিবারের সদস্যগণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শেষে অতিথিবৃন্দকে পিঠা-পুলি, নাড়ু, মুড়ি-মুড়কি, সাজ-বাতাসা, পায়েস, চটপটি, ফুচকা, মিষ্টিসহ নানা ধরনের ঐতিহ্যবাহী বাঙ্গালী খাবার দ্বারা আপ্যায়ন করা হয়।
বাঙ্গালী সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও রসনার এক অপূর্ব উপস্থাপন করা হয় এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে। জাতিসংঘে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও তাঁদের স্পাউজগণ এই উপস্থাপনার ভূয়সী প্রশংসা করেন। বিভিন্ন দেশের প্রায় শতাধিক কূটনীতিক ও তাঁদের পরিবারবর্গ, দুই ঘন্টাব্যাপী এই অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।