নিউজ২৪ইউএসএ.কম ডেস্ক, নিউইয়র্ক : নিউইয়র্ক স্টেটের বাফেলোতে দুই বাংলাদেশি বাবুল মিয়া এবং আবু ইউসুফকে শনিবার ভরদুপুরে গুলি করে হত্যায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে বাফেলো পুলিশ। রবিবার দিবাগত গভীর রাতে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত গ্রেফতারকৃত যুবকের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। যে বাড়িতে কাজের সময় বাবুল মিয়া ও আবু ইউসুফ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন, তার পার্শ্ববর্তী একটি সিসিটিভির ফুটেজ থেকে ওই যুবককে শনাক্ত হয়। তার বিষয়ে তথ্য প্রদানকারীকে সাড়ে ৭ হাজার ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল বাফেলো পুলিশ।
এদিকে দুই বাংলাদেশিকে হত্যার প্রতিবাদে রবিবার জোহরের নামাজের পর বাফেলো মুসলিম সেন্টারের সামনে এক বিক্ষোভ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে অবিলম্বে দুর্বৃত্তকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান নেতৃবৃন্দ। দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের প্রবাসী এই বিক্ষোভ-সমাবেশে অংশ নেন। এতে উপস্থিত ছিলেন বাফেলো সিটি মেয়র বাইরেন ডাব্লিউ ব্রাউন, বাফেলো পুলিশ কমিশনার জোসেফ গ্রেমাগলিয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা এসেছিলেন কম্যুনিটির সংকটে সংহতি প্রকাশ করতে। একইসাথে দুর্বৃত্তকে শনাক্ত ও গ্রেফতারে সর্বাত্মক চেষ্টার বিষয়টি অবহিত করেন তিনি।
বিকালের বিশাল বিক্ষোভের দুই ঘণ্টা পরই সন্দেহভাজন দুর্বৃত্তকে সিটির ইস্ট ডেলাভান এবং নর্থ ফর্ক এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সংবাদে কম্যুনিটিতে কিছুটা স্বস্তি নিয়ে এলেও নিরাপত্তাহীনতা কমেনি। কারণ, বাবুল মিয়া ও আবু ইউসুফকে একটি বাড়ি মেরামতের সময় কোনো ধরনের উসকানি ছাড়াই কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
বিক্ষোভ-সমাবেশে কম্যুনিটি নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টার অব বাফালোর সভাপতি এ কে এম ফাহিম, আল ইসান জামে মসজিদের সভাপতি ও বৃহত্তর কুমিল্লা সোসাইটির সভাপতি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী আবুল বাসার, পিবিসি টুয়েন্টিফোর টেলিভিশন সম্পাদক ও বিএনপি নেতা মতিউর রহমান লিটু, বাফেলো সিটি হলের কর্মচারী নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার মো. সিরাজুল মোস্তফা (জাভেদ), বাফেলো বিএনপি নেতা ইমতিয়াজ বেলাল, বরিশাল সোসাইটি অব বাফেলোর সভাপতি সৈয়দ ঝিলু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা মনিরুজ্জামান মিয়া, বায়তুল মোকাররম মসজিদের সভাপতি কবির পোদ্দার, হোম ওনার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জামাল হোসেন। কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্টদের মধ্যে ছিলেন ড. ফাহিম তাজওয়া, ড. মোমিন উল্লাহ, মইনুল হোসেন, আব্দুল মান্নান তাজু, মারুফ আহাম্মেদ, ফাইজুর রহমান, জামাল উদ্দিন, বোরহান আলী, খালেদ আলী, জাহাঙ্গির আলম প্রমুখ।
জোড়া খুনের সংবাদ জানার পরপরই নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা নিহতদের স্বজন এবং বাফেলো কম্যুনিটির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন এবং কন্স্যুলেট সবসময় সক্রিয় রয়েছে বলে সকলকে জানান।