নিউজ২৪ইউএসএ.কম, নিউইয়র্ক : নিউইয়র্কে প্রবাসীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে যে দায়িত্ব পালন করেছি সেজন্য আমি খুবই গর্বিত। টানা ৫ বছর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশের কল্যাণে কিছু করার সুযোগ করে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমাকে আবারো পররাষ্ট্র মন্ত্রী করা হয়নি বলে আমার কোন আক্ষেপ নেই।
১৭ জুলাই বুধবার রাতে ব্রঙ্কসের আল আকসা পার্টি হলে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি’র যুক্তরাষ্ট্রে আগমন উপলক্ষে প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটি এ মতবিনিময় সভা ও ডিনার পার্টির আয়োজন করে।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম বাদশার সভাপতিত্বে এবং যুুবলীগ নেতা শেখ জামালের সঞ্চালনায় এ মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এনআরবি কমার্সিয়াল ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ফরাসত আলী, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল চৌধুরী, সহ সভাপতি সৈয়দ বশারত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান, আমেরিকান বাংলাদেশী ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের সভাপতি মূলধারার রাজনীতিবিদ আব্দুস শহীদ, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন অব নর্থ আমেরিকার সভাপতি মাহমুদ আহমেদ, মূলধারার রাজনীতিবিদ হাসান আলী, সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য যুুবলীগ নেতা ইফজাল চৌধুরী, বাংলাদেশ সড়ক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হোসেন মজুমদার, জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট শাহীন কামালি, সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গমাতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ সোহাগ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা আতাউল গনি আসাদ, সাখাওয়াত আলী, আবু লেইস চৌধুরী, শ্যামল কান্তি চন্দ, শেখ শফিক, ব্রঙ্কস আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মুহিত, যুক্তরাষ্ট্র জাসদের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম জিকু, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগ নেতা সোয়েব আহমেদ, জামাল আহমেদ, মনির উদ্দিন, কাজী রবিউজ জামান, রুকন আহমেদ, মাহবুব চৌধুরী, রেজা রুহেল, হাসনাত তালুকদার, প্রফেসর সানাউল্লাহ মিয়া, মিয়া মোহাম্মদ দাউদ, স্বপন মাস্টার প্রমুখ।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। শেখ হাসিনার বহুমুখি নেতৃত্বগুণে বাংলাদেশ অপ্রতিরুদ্ধ গতিতে এগিয়ে চলছে। শেখ হাসিনার স্বপ্ন ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ স্মার্ট রাষ্ট্রে পরিণত করা। ড. মোমেন বলেন, যারা অনেক বেশি পরিমাণে রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন তাদেরকে সিআইপি কার্ড দেয়া হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রী থাকাকালে সাধারণ প্রবাসীদের দেশে ফেরার সময় এয়ারপোর্টে, নিজ এলাকার অফিস-আদালতে বিশেষ সুবিধাসহ দেশে সন্তানদের নির্বিঘেœ লেখাপড়াসহ সামগ্রিক অবস্থার আলোকে স্মার্ট কার্ড প্রবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছিলাম, তা অর্থ মন্ত্রণালয় গ্রহণ করেছে। ৩০ ডিসেম্বরকে ‘প্রবাসী দিবস’ ঘোষণা করা হয়েছে। শেখ হাসিনা যে সত্যিকার অর্থেই প্রবাস-বান্ধব সরকার তা গৃহীত বিভিন্ন কর্মকান্ডে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এজন্যে দেশকে এগিয়ে নিতে প্রবাসীদের আরো অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
সভায় সিলেট-১ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ড. মোমেনের কাছে সিলেট প্রবাসীরা কিছু দাবি-দাওয়া তুলে ধরলে তিনি তার সরকারের নেয়া বিভিন্ন কর্মকান্ডের কথা তুলে ধরেন।
এসময় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কমিটির প্রসঙ্গ আনা হলে ড. মোমেন বলেন, তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের খুবই গুরুত্ব দিয়ে আসছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। সামনের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগদানের সময় বিরাজিত পরিস্থিতির আলোকে নিশ্চয়ই তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
উল্লেখ্য, পারিবারিক সফরে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আগামী ২০ জুলাই তার বাংলাদেশে ফেরার কথা রয়েছে।