নিউজ২৪ইউএসএ.কম, নিউইয়র্ক : নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ২৫ মার্চ “গণহত্যা দিবস” পালন করে। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
কনসাল জেনারেল মোঃ নাজমুল হুদা’র সভাপতিত্বে এ বিশেষ দিবসটির ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কনসাল জেনারেল তাঁর বক্তব্যে ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ কালরাত্রে ঢাকাসহ সারাদেশে ইতিহাসের যে নৃশংসতম ও বর্বরতম হত্যাকান্ড অনুষ্ঠিত হয়েছিল তা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ২৫ শে মার্চের কালরাতে নিরীহ, নিরস্ত্র, শান্তিকামী সাধারণ মানুষের উপড় যে গণহত্যা সংঘটিত হয়, তা পৃথিবীর ইতিহাসে এক ন্যাক্কারজনক অধ্যায় হিসেবে লিপিবদ্ধ থাকবে। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক এ দিনটিকে গণহত্যা দিবস ঘোষণা করার যৌক্তিকতা তুলে ধরে কনসাল জেনারেল এ দিবসটির পক্ষে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের উপর আলোচনা করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি সকলকে যার যার অবস্থান থেকে আরো জোরালো ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে তিনি সকলের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে নতুন প্রজন্মের মধ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার উপর জোর গুরুত্ব আরোপ করেন। আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে তিনি সকলকে জাতির পিতার ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্ন বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। কনসাল জেনারেল তাঁর বক্তব্যে মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহিদ, ২ লাখ নির্যাতিত মা-বোন, শহিদ জাতীয় চার নেতা ও সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
২৫ শে মার্চ কালরাতসহ স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল শহিদ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদ সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।