নিউজ২৪ইউএসএ.কম ডেস্ক, নিউইয়র্ক : নিউইয়র্কে ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার গভীর রাতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি হাফিজ আহমেদ এবং তার স্ত্রী সাথী আহমেদ'র করুণ মৃত্যু হয়েছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। নিউইয়র্ক শহরের অদূরে উশবেরির লং মাউন্টেন পার্কওয়েতে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনায় দম্পতির বেঁচে যাওয়া দুই সন্তানের একজন মেয়ে রাইদা আহত অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছে। মহাসড়কে অন্য একটি গাড়িকে পুলিশ ধাওয়া করতে গিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গেছে। কমিউনিটিতে পরিচিত সাথী আহমেদ এবং তার স্বামী হাফিজ আহমেদ এঞ্জেল বিংহ্যামটনে সন্তানদের নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। দুর্ঘটনার সময় পরিবারটি নিজ ঘরে ফিরছিল বলে স্বজনরা জানিয়েছেন। সাথী আহমেদ নিউইয়র্ক গাজীপুর সোসাইটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন। আহত মেয়ের অবস্থা হাসপাতালে সংকটজনক বলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা গেছে। দম্পতির মরদেহ বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
হাফিজ আহমেদের দেশের বাড়ি গাজীপুর, স্ত্রী সাথী আহমেদের দেশের বাড়ি বরিশাল। পরিবারের তিন সদস্য স্বামী-স্ত্রী এবং তাদের ৮ বছরের সন্তান মেয়ে রাইদা কে নিয়ে যাচ্ছিলেন l তাদের ৮ বছরের মেয়ে রাইদা লাইফ সাপোর্ট আছে। আরেক সন্তান ১৮ বছরের ছেলে ইশাম। হৃদয় বিদারক এ দুর্ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে বাংলাদেশিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জানা গেছে, রাজ্য পুলিশ শুক্রবার গভীর রাতে উডবারির শহরে লং মাউন্টেন পার্কওয়ে - রুট ৬ এ গুরুতর দুর্ঘটনাটির বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা ভিন্ন একটি গাড়ির অতিরিক্ত স্পীডের কারনে গাড়িটির গতিরোধ করার চেষ্টা করছিল। কিন্তু পুলিশের ধাওয়া পাওয়া গাড়িটির চালক না থেমে, আরো দ্রুতগতিতে গাড়ি চালাতে শুরু করে। ঘন্টায় ১০০ মাইলের বেশি স্পিডে চলছিল পুলিশের ধাওয়া পাওয়া গাড়িটি। একই মহাসড়ক দিয়ে হাফিজ দম্পতি তাদের দুই সন্তান সহ বিংহ্যামটন শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। অতিরিক্ত স্পীডের কারণে ধাওয়া খাওয়া চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এসইউভিকে আঘাত করে। এসইউভি গাড়িটির যাত্রী ছিলেন নিহত হাফিজ আহমেদের পরিবার। এর জের ধরে সেসময় অন্য কয়েকটি গাড়িসহ পুলিশের একটি গাড়িও দুর্ঘটনার শিকার হয়। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকজনকে গুরুতর আহত অবস্হায় ভালহাল্লার ওয়েস্টচেস্টার মেডিকেল সেন্টার এবং ওয়ালকিল শহরের গার্নেট হেলথ মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।
কে-৯, অরেঞ্জ কাউন্টি সোয়াট টিম, ড্রোন এবং রকল্যান্ড কাউন্টি থেকে হেলিকপ্টার সহ দুর্ঘটনায় জড়িত চালক ও তার সহযোগীকে গ্রেফতারের জন্য হ্যারিম্যান স্টেট পার্কের জঙ্গলে খুঁজতে দেখা গেছে। ধাওয়া খাওয়া গাড়ি থেকে দুর্ঘটনার পরপরই দুই ব্যক্তি গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে জঙ্গলের দিকে পালিয়ে গেছে বলে পুলিশ মনে করছে।