নিউজ২৪ইউএসএ.কম, নিউইয়র্ক : নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৩০ মে বৃহস্পতিবার রাতে গুলশান ট্যারেস হলে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান মিঞা এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শাহিন আজমল। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, সিনিয়ার সহ সভাপতি ফজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবদুস সামাদ আজাদ, সিনিয়ার যুগ্ম সম্পাদক নিজাম চৌধূরী, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ চৌধুরী প্রমুখ। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগসহ যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামীলীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ,কৃষক লীগের নেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন সহ সভাপতি শেখ আতিকুল ইসলাম, মোঃ মনির হোসেন, মহিউদ্দিন মাহি, আবুল কাশেম ভুঁইয়া, হুমায়ুন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম, সদস্য আবুল বাশার মিলন প্রমুখ।
কোরআন থেকে তেলওয়াত ও দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা সাইফুল আলম সিদ্দিকী। গিতা থেকে পাঠ করেন ছাত্রনেতা বিপ্রাস রায় এবং ত্রিপিটক থেকে পাঠ করেন ষ্টেট আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বীকৃতি বড়ুয়া।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের প্রেরণার শক্তি হচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি পাঁচবার দলকে ক্ষমতায় নিয়ে গিয়ে প্রমাণ করেছেন দক্ষিণ এশিয়ায় তার মতো আর কোন নেতা নেই। তিনি আমার প্রতি যে ¯েœহ ভালবাসা দিয়েছেন তা জীবন দিয়েও তা শোধ করা যাবে না। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ১৯বার চেষ্টা করা হয়েছে হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়। আওয়মী লীগ কার্যালয়ের সামনে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু তিনি সব সময় লক্ষ্যে অবিচল থেকে দলকে বারবার ক্ষমতায় নিয়ে গেছেন। আমার ঠিকানা সরকার নয়, আমার ঠিকানা দল। এখন সবাই আওয়মী লীগ করতে চায়। কিন্তু নৌকায় যেন বেশি যাত্রী না উঠে আর উল্টা পাল্টা যাত্রীর দিকে আপনারা নজর দেবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, দিনের বেলায় তাদের ঠিকানা নয়াপল্টন এবং রাতের বেলায় বিভিন্ন বিদেশি দূতাবাসে তারা ধরণা দেয়। বিএনপি দেশের মানুষে কাছে যায় না। ক্ষমতার মালিক দেশের জনগণ। ক্ষমতার মালিক কোন বিদেশি দেশ বা রাষ্ট্রদূতরা নয়।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টাকে নিয়ে তারা প্রতারণার করলো। এর আগে তারা কংগ্রেসম্যানদের সই জাল করলো। তারা চেষ্টা করেছিল ২০২৪ সালের নির্বাচনকে ভন্ডুল করার জন্য।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে আরও উচ্চতর স্তরে নিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও মধুর করার জন্য আপনারা নেতা-কর্মীরা সিনেটর ও কংগ্রেসম্যানদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। তাতে আমাদের উপকার হবে।
এদিকে, সিনিয়র সহ সভাপতি ফজলুর রহমান বক্তব্য শুরু করলে হলের ভেতরে তার বিরুদ্ধে স্লোগান শুরু হয়। এই সময় দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে তুমুল হট্টগোল বেধে যায়। পরাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদসহ মঞ্চে থাকা অতিথিরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।