Today Is- Monday-18 Nov 2024

নিউইয়র্ক স্টেট সিনেট ও অ্যাসেম্বলিতে ‘বাংলাদেশ ডে’ রেজুলেশন গ্রহণ (ভিডিও সহ)

>br/<

নিউজ২৪ইউএসএ.কম ডেস্ক, নিউইয়র্ক : নিউইয়র্ক স্টেট সিনেট ও অ্যাসেম্বলিতে উদযাপিত হয়েছে ‘বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বাষির্কী’ এবং ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’। নিউইয়র্কের রাজধানী আলবেনিতে গত ৭ মে মঙ্গলবার স্টেট সিনেটে এবং ২৫ মার্চ স্টেট অ্যাসেম্বলিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের রেজুলেশন সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। ওই রেজুলেশন দু’টিতে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস স্থান পায়। খবর ইউএসএনিউজঅনলাইন.কম’র।
সংশ্লিষ্ট্র সূত্রমতে, নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি ও স্টেট সিনেটে ‘বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বাষির্কী’ এবং ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’র ওপর পৃথকভাবে রেজুলেশন গ্রহণ করা হয়। অ্যাসেম্বলি ডিস্ট্রিক্ট ৮৭ (ব্রঙ্কস) থেকে নির্বাচিত অ্যাসেম্বলিওমেন কারিনা রাইস স্টেট অ্যাসেম্বলি হাউসে এবং সিনেট ডিস্ট্রিক্ট ৩২ (ব্রঙ্কস) থেকে নির্বাচিত সিনেটর লুইস সেপুলভেদা স্টেট সিনেটে এ সংক্রান্ত বিল উত্থাপন করেন। স্টেট এসেম্বলী ও সিনেট অধিবেশনে গৃহীত পৃথক রেজুলেশনে তুলে ধরা হয় বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। রেজুলেশনে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট, দেশ স্বাধীনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসামান্য অবদানের কথা উল্লেখ করা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার অবদান স্বীকার করে তাদেরও কৃতিত্ব দেওয়া হয়। সেখানে বাংলাদেশিদের অবদানসহ তুলে ধরা হয়েছে বাংলাদেশের বেশ কিছু তথ্য। এতে বলা হয়েছে, নিউইয়র্ক সিটিতে ৬০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি বসবাস করছেন। এখানে বাংলাদেশিরা অনেক ভালো কাজ করছেন এবং নানাভাবে অবদান রাখছেন। আমেরিকার অর্থনীতি বিনির্মাণে তাদের অনন্য ভূমিকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এসময় উভয় কক্ষের জনপ্রতিনিধিরা বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও যথাযথ সম্মান নিবেদন করেন। স্টেট সিনেটর ও অ্যাসেম্বলিমেম্বারগণ এসময় তাদের বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নে বাংলাদেশী কমিউনিটির অবদানেরও উচ্ছ্বসিত প্রসংশা করেন।
এই গুরুত্বপূর্ণ অর্জনটির পিছনে সমন্বয়কের কাজ করেছে আমেরিকান-বাংলাদেশী ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন ইউএসএ ইনক এবং যুক্তরাষ্ট্র মুজিব শতবর্ষ উদযাপন পরিষদ ইউএসএ নামে দু’টি সংগঠন।
৭ মে বিকেলে স্টেট সিনেটের অধিবেশনে প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছে ‘লুইস ভাই’ হিসেবে খ্যাত সিনেটর লুইস সিপুলভিদা উত্থাপিত বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবাষির্কী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’র বিলটি পাঠ করে শোনানোর পর স্টেট সিনেটর ন্যাথালিয়া ফার্নান্দেজ, জন ল্যু, জেসিকা গঞ্জালেস রোজাস, জামাল টি বেইলি সহ বেশ ক’জন সিনেটর এর সমর্থনে জোরালে বক্তব্য রাখেন। এখানে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস স্থান পায়। পরে সিনেট হাইজে রেজুলেশনটি সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়।
বিলটি উপস্থাপনকালে সিনেট ফ্লোরে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ নাজমুল হুদা, ডেপুটি কনসাল জেনারেল নাজমুল হাসান, যুক্তরাষ্ট্র সম্মিলিত মুজিববর্ষ উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক আবদুর রহিম বাদশা, আমেরিকান-বাংলাদেশী ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের সভাপতি আবদুস শহীদ ও সেক্রেটারী শেখ জামাল হুসেন। সিনেট গ্যালারীতে উপবিষ্ট ছিলেন অন্যান্য বাংলাদেশীরা। এসময় প্রবাসী বাংলাদেশিরা জয়-বাংলা স্লোগান আর বিপুল করতালির মধ্য দিয়ে আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠেন।
সিনেট গ্যালারি এদিন বাংলাদেশীদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। বর্ণাঢ্য এ আয়োজনে বাংলাদেশী কূটনীতিক, রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, মুক্তিযোদ্ধা, সমাজকর্মী, সাংস্কৃতিক কর্মী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে, ২৫ মার্চ অ্যাসেম্বলি হাউসের অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবাষির্কী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী প্রস্তাবনাটি রেজুলেশন আকারে গৃহীত হয়। অ্যাসেম্বলি হাউসে অ্যাসেম্বলিওম্যান ক্যারীনেস রেইস উত্থাপিত বিলটি পাঠ করে শুনানো হয়। রেজুলেশনে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ করে তাঁকে বিশেষভাবে স্মরণ করা হয়। বিলের সমর্থনে বেশ ক’জন অ্যাসেম্বলিম্যান সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
এদিকে, গত ৭ মে দুপুরে স্টেট সিনেটর ন্যাথালিয়া ফার্নান্দেজ তার সিনেট অফিস হলে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সম্মানে এক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এ অনুষ্ঠানে ২৫ মার্চ অ্যাসেম্বলি হাউসে গৃহীত ‘বাংলাদেশ ডে’ রেজুলেশন কপি হস্তান্তর করেন অ্যাসেম্বলিওম্যান ক্যারীনেস রেইস। আমেরিকান-বাংলাদেশী ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন ইউএসএ ইনক এবং যুক্তরাষ্ট্র মুজিব শতবর্ষ উদযাপন পরিষদ ইউএসএ নের্তৃবৃন্দ রেজুলেশন কপি গ্রহণ করেন।
এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্টেট সিনেটর লুইস সিপুলভিদা, স্টেট সিনেটর ন্যাথালিয়া ফার্নান্দেজ, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ নাজমুল হুদা, ডেপুটি কনসাল জেনারেল নাজমুল হাসান, আমেরিকান-বাংলাদেশী ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন ইউএসএ’র সভাপতি আবদুস শহীদ, সম্মিলিত মুজিববর্ষ উদযাপন পরিষদ ইউএসএ’র আহ্বায়ক ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগ নেতা আবদুর রহিম বাদশা, আমেরিকান-বাংলাদেশী ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন ইউএসএ’র সেক্রেটারী ও যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগ নেতা শেখ জামাল হুসেন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান, বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা সিরাজউদ্দিন সোহাগ, বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা সাখাওয়াত আলী, আলবেনি আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, আমেরিকান-বাংলাদেশী ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন ইউএসএ’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজা আব্দুল্লাহ স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদিকুর রহমান, অর্থ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা কাজি রবিউজ্জামান, বিশিষ্ট নারী নেত্রী মাকসুদা আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র জাসদের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম জিকু, হৃদয়ে বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ, বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা রোকন আহমেদ, সালেহ আহমেদ, গিলাছড়া ইউনিযনের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল লেইস চৌধুরী, নারী নেত্রী নাসরিন নিরু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্টেট সিনেটর লুইস সিপুলভিদা, স্টেট সিনেটর ন্যাথালিয়া ফার্নান্দেজ ও অ্যাসেম্বলিওম্যান ক্যারীনেস রেইসকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
এসময় বক্তারা ক্রমবর্ধমান বাংলাদেশী কমিউনিটির ভূয়শী প্রশংসা করে নানা ক্ষেত্রে তাদের অবদানের কথা তুলে ধরেন। মার্কিন জনগণের সেবা ও তাদের জীবনমান উন্নয়নে স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশী-আমেরিকানদের ভূমিকার কথাও ওঠে আসে।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ নাজমুল হুদা নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি ও স্টেট সিনেটে ‘বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বাষির্কী’ এবং ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’র ওপর পৃথকভাবে রেজুলেশন গ্রহণ করায় সিনেটর লুইস সেপুলভেদা, স্টেট সিনেটর ন্যাথালিয়া ফার্নান্দেজ, অ্যাসেম্বলিওমেন কারিনা রাইস সহ সংশ্লিষ্টদেরকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। ড. নাজমুল হুদা বলেন, বহুজাতিক এই সমাজে বাঙালিরা তাদের মেধা আর শ্রমে অবদান রাখছেন। এর মূল্যায়নও ঘটছে নানাভাবে। এর মধ্য দিয়ে তা আরো দৃশ্যমান হলো।
বাংলাদেশীরা এ ঐতিহাসিক উদ্যোগের জন্য সিনেটর লুইস সেপুলভেদা, স্টেট সিনেটর ন্যাথালিয়া ফার্নান্দেজ, অ্যাসেম্বলিওমেন কারিনা রাইস সহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান।
এর আগে এ দিন সকাল সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ব্রঙ্কসের ইউনিয়ন পোর্ট রোড এলাকা থেকে নিউইয়র্কের রাজধানী আলবেনীর উদ্দেশ্যে বাংলাদেশীদের নিয়ে একটি মিনিবাস ছেড়ে যায়। আয়োজক সহযোগি দু’টি সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার বাংলাদেশী আমেরিকানরা দুপুর প্রায় ১টার দিকে ক্যাপিটাল হিলে পৌঁছালে সিনেটর লুইস সিপুলভিদা ও সিনেটর ন্যাথালিয়া ফার্নান্দেজ তাদের স্বাগত জানান। এসময় তারা শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
উল্লেখ্য, স্টেট সিনেটর ন্যাথালিয়া ফার্নান্দেজ সকলকে মধ্যাহ্ন ভোজে আপ্যায়িত করেন। এ আয়োজনের জন্য বাংলাদেশীদের পক্ষ থেকে স্টেট সিনেটর ন্যাথালিয়া ফার্নান্দেজকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।
এদিকে, সকালে যাত্রা এবং বিকেলে ফেরার পথে বাসে সমন্বয় কমিটির নেতৃবৃন্দ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, এর আগে নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটে ঐতিহাসিক বাংলাদেশ ডে বিলটি পাশ হয় ২০১২ সালের ২৪ মার্চ। ব্রঙ্কস থেকে নির্বাচিত সাবেক সিনেটর রুবিন ডিয়াজের ধন্যবাদ প্রস্তাব বিলের মাধ্যমে বিলটি পাশ হয়। তাকে রেজুলেশন তৈরি করে সহযোগীতা করেন প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছে ‘লুইস ভাই’ হিসেবে পরিচিত এটর্নী লুইস সিপুলভেদা (বর্তমান সিনেটর)। তাদের সহযোগীতা করেন ব্রঙ্কস বাংলাদেশী কমিউনিটির নের্তৃবৃন্দ।
জানা যায়, রুবিন ডিয়াজ ও লুইস সিপুলভেদা বাংলাদেশী কমিউনিটির সাথে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে ও একসাথে কাজ করার বিষয়ে প্রয়াত কমিউনিটি সংগঠক জাকির খানের কাছে আগ্রহ ব্যাক্ত করেন। বাংলাদেশ কমিউনিটিকে নিয়ে এমন একটি অনুষ্ঠান করতে চান যার ফান্ডিং তারা বহন করবেন। জাকির খান তাদের ইচ্ছার বাস্তবায়ন ঘটাতে কমিউনিটির অনেকের সাথে যোগাযোগ করেন। একপর্যায়ে লুইস সিপুলভেদা এবং জাকির খানের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশী-আমেরিকান কমিউনিটি কাউন্সিলের সভাপতি মোহাম্মদ এন মজুমদারের সভাপতিত্বে বাংলাদেশের ৪১ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন বিষয়ে এক সভার আয়োজন করা হয় ব্রঙ্কসের একটি রেষ্টুরেন্টে। ওই সভায় বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্রঙ্কসের ততকালীন সভাপতি মাহবুব আলমের প্রস্তাবনায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে ২০১২ সালের ২৪ মার্চ নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটে ততকালীন সিনেটর রুবিন ডিয়াজ বাংলাদেশ ডে বিলটি উত্থাপন করেন। বিলের আলোকে সিনেটর রুবিন ডিয়াজ সিনেটে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিবরণ তুলে ধরেন। তিনি ১৯৭১ সালের মার্চে অপারেশন সার্চ লাইটের নামে গণহত্যা, মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে বাংলাদেশীদের আত্মত্যাগ এবং পাকিস্তানী বাহিনীর হাতে বাংলাদেশী মা-বোনদের সম্ভ্রমহানির কথা সবিস্তারে তুলে ধরেন। সেদিন মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যেই এই ঐতিহাসিক বিলটি সর্বসম্মতভাবে সিনেটে পাশ হয়। সেথেকে প্রতি বছর দিবসটি উদযাপিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশ ডে রেজ্যুলেশন প্রস্তুতকারী এটর্নী লুইস সিপুলভেদা (বর্তমান সিনেটর) এসেম্বলিম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর আলবেনীতে বাংলাদেশ ডে উদযাপনে আরও ব্যাপকতা পায়। ‘বাংলাদেশ ডে’ উদযাপনের প্রথম আহ্বায়ক কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন মোহাম্মদ এন মজুমদার এবং মেম্বার সেক্রেটারী ছিলেন মরহুম জাকির খান।
আরও উল্লেখ্য যে, করোনা মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে নিউইয়র্ক স্টেট সিনেট ও অ্যাসেম্বলিতে বাংলাদেশ ডে উদযাপিত হয়নি। ২০২২ সালে বাংলাদেশ ডে আদতে স্টেট সিনেট ও অ্যাসেম্বলিতে উদযাপিত হয় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবাষির্কী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। গত বছর রমজানের কারণে নিউইয়র্ক স্টেট সিনেট ও অ্যাসেম্বলিতে বাংলাদেশ ডে উদযাপিত হয়নি। এবছর স্টেট সিনেট ও অ্যাসেম্বলিতে বাংলাদেশ ডে হিসেবে আবারও উদযাপিত হল বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবাষির্কী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।

CATEGORIES
Share This