নিউজ২৪ইউএসএ.কম, নিউইয়র্ক : ফোবানার চেয়ারম্যান, জেবিবিএ’র সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আমেরিকার মুলধারার রাজনীতিবীদ গিয়াস আহমেদের নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডের বাসভবনে গত ১৬ অক্টোবর সোমবার পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আলোচনা, দু’য়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন কর হয়।
আহলে বাইত জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি ড. সাঈয়্যেদ মুতাওয়াক্কিল বিল্লাহ রব্বানী বদরপুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক গিয়াস আহমেদ। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিলাল মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি সৈয়দ আনসারুল করিম আজহারী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পার্কচেস্টার জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব জুবায়ের রাশিদ, কমিউনিটি একটিভিষট সৈয়দ উমায়ের হাসান, মাওলানা ওয়ালিউল্লাহ মো. আতিকুর রহমান, আহলে বাইত মসজিদের ইমাম হাফেজ টিপু সুলতান প্রমুখ।
পবিত্র কুরআন থেকে তেলোয়াত করেন সৈয়দ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানী, নাতে রসুল পাঠ করেন আন্তর্জাতিক নাতে খা কারী মুহাম্মদ ফারুক, সৈয়দ মুসতায়িন বিল্লাহ রব্বানী এবং করিম হাওলাদার। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আল্লাহ তায়ালা আল কুরআনে নবী (সাঃ) এর শুভাগমনে আনন্দ উৎসব পালন করবার জন্য মুমিনদের নির্দেশ দিয়েছেন। সুরা ইউনুসের ৫৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, “হে রসুল আপনি বলুন, আল্লাহর অনুগ্রহ এবং রহমত প্রাপ্তিতে মুমিনরা যেন খুশি উৎযাপন করে। মুমিনদের এই খুশি উৎযাপন তাদের সমসত কর্ম ফল অপেক্ষাও শ্রেষ্ঠ হবে।” আল্লাহ তায়ালা সুরা আম্বিয়ার ১০৭ নম্বর আয়াতে এই “রহমত” সম্পর্কে বলেন, “আমি আপনাকে মুহাম্মদ (সাঃ) সমগ্র জগৎ সমুহের রহমত রুপে পাঠিয়েছি।”
বক্তাগণ বলেন, নবী সাঃ হলেন আমাদের জন্য সবচেয়ে শ্রেষ্ঠতম রহমত। আর এই রহমত প্রাপ্তিতে শুধু মুমিনরাই খুশি উৎযাপন করবে। পথভ্রষ্ট ওহাবী সালাফি এবং জংগী মতাদর্শের লোকদের ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের সৌভাগ্য হবে না।
বক্তাগণ আরও বলেন, বর্তমানে নবী সাঃ এর মান শান নিয়ে আলোচনা করলেই এব শ্রেণীর আলেম ওলামার গা জ্বলে যায়। নবী সাঃ এর জন্মের সময় শয়তান সবচেয়ে বেশী দুঃখ পেয়েছিল। তেমনি নবী সাঃ এর জন্মের দিন উদযাপন করলে কতিপয় ওলামার গা জ্বলে। আগের দিনে সারা বিশ্বে ঈদে মিলাদুন্নবী, দুরুদ মিলাদ কিয়ামের প্রচলন ছিল। তখন মুসলমানরা অর্ধেক দুনিয়া শাসন করেছে। মুসলমানরা ছিল সুপার পাওয়ার। কিন্তু ইংরেজদের চক্রান্তে সৌদী আরবে ওহাবীদের আগমনের ফলে মুসলমনাদের অধপতন শুরু হয়। সৌদী আরবে আল সৌদ পরিবার এবং ওহাবী মতবাদের গুরু মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওহাবী নজদী ইংরেজদের চক্রান্তে উসমানিয়া খিলাফতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে খিলাফত ভেঙ্গে রাজতন্ত্র কায়েম করে। ফলে মধ্যপ্রাচ্য ইংরেজদের দখলে চলে যায় এবং ইসরাইল নামক দাজ্জালী রাষ্ট্র সৃষ্টি হয়। বর্তমান দাজ্জালী ইসরাইল রাষ্ট্র গঠনের জন্য মিলাদুন্নবী বিরোধী ওহাবীরাই দায়ী। এই সৌদী ওহাবীরাই আজ ঈদে মিলাদুন্নবী সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের বিরোধিতা করে সমাজে ফেৎনা সৃষ্টি করে চলছে। বক্তরা সকলকে এই ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। শেষে ফেলেস্টাইনে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের দাবী এবং সাধারণ নাগরিকদের হত্যাযজ্ঞের নিন্দা জ্ঞাপন করে দোয়া করা হয়।