নিউজ২৪ইউএসএ.কম ডেস্ক, নিউইয়র্ক : ভিয়েতনামে হ্যানয়স্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়। ৭ মার্চ জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির সূচনা করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদ সদস্যসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহীদ-এর রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের ভিডিও প্রদর্শন করা হয় ।
আলোচনা পর্বে মূল বক্তব্য রাখেন ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ লুৎফর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মিশনের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান নাসির উদদীন। রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ লুৎফর রহমান বক্তব্যের শুরুতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে ৭ই মার্চে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতার ১৮ মিনিটের ভাষণটি ছিল বাঙ্গালি জাতির মুক্তির মূলমন্ত্র। এই ঐতিহাসিক ভাষণের শক্তি এতটাই গভীর ছিল যে, তা দল-মত নির্বিশেষে পুরো বাঙালি জাতিকে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার নিমিত্ত ঐক্যবদ্ধ করেছিল। কালজয়ী এই ভাষণে্র ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। তাই, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ আমাদের অস্তিত্বেরই অংশ। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ভাষণ ইতোমধ্যে আমাদের দূতাবাস ভিয়েতনামের মাতৃভাষায় অনুবাদ করেছে যার মাধ্যমে আমাদের ভিয়েতনামের বন্ধুরাও বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য অনুধাবন করতে পারবে। সর্বোপরি, বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা যুদ্ধ সম্পর্কে জানতে পারবে।