নিউজ২৪ইউএসএ.কম ডেস্ক, নিউইয়র্ক : যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বড় আঞ্চলিক সংগঠন চিটাগাং এসোসিয়েশন অব নর্থ আমেরিকা’র নির্বাচন ২০ অক্টোবর রোববার। সমিতির কার্যকরী কমিটির ১৯ পদে লড়ছে দুটি প্যানেল ‘তাহের-আরিফ’এবং ‘মাকসুদ-মাসুদ’। ২৩৩ জন আজীবন সদস্যসহ ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৮৯৪। ভোটগ্রহণ করা হবে ৪ কেন্দ্রে।
নিউইয়র্ক সিটির বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যামাইকার ইকরা সেন্টার এবং ব্রুকলীনে পিএস১৭৯ এর মিলনায়তন, কানেকটিকাটের স্ট্যামফোর্ডএবং পেনসিলভেনিয়া স্টেটের পেনসিলভেনিয়ার আপার ডারবিতে ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। নির্বাচনে চারটি কেন্দ্রের মধ্যে ব্রকলিন ও জ্যামাইকা কেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা এবং কানেকটিকাটের স্ট্যামফোর্ড ও পেনসিলভেনিয়ার আপার ডারবিতে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনে প্রার্থী ও ভোটারদের নির্বাচনী বিধিমালা মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র সাহাবউদ্দিন সাগর জানান, সুষ্ঠু নির্বাচনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি সম্পন্ন এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের আন্তরিকতা অব্যাহত থাকলে চট্টলাবাসীর প্রত্যাশার পরিপূরক নির্বাচন উপহার দেয়া সম্ভব হবে।
এবারের নির্বাচনে তাহের-আরিফ এবং মাকসুদ-মাসুদ প্যানেলের প্রার্থীরা দিনরাত প্রচার অব্যাহত রেখেছেন। তারা প্রার্থীদের কাছে নিজেদের যোগ্যতা তুলে ধরে ভোট প্রার্থনা করছেন। চট্টগ্রাম সমিতির নির্বাচন ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত চট্টগ্রাম প্রবাসীদের মধ্যে দারুণ উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে।
এদিকে, তাহের-আরিফ প্যানেলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পক্ষে সদস্য সচিব কামাল হোসেন মিঠু মঙ্গলবারএকটি বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিটি বলা হয়েছে- চট্টগ্রাম অ্যাসোসিয়েশান অব নর্থ আমেরিকা ইনক একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। এই সংগঠনের সাথে বহু নেতা কর্মী এবং তাদের পরিবারের ত্যাগ, তিতীক্ষা, ভালোবাসা, সমাজসেবার ইতিহাস ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। কমিটি কিংবা নির্বাচন আসে এবং চলে যায়। থেকে যায় ভ্রার্তৃত্ববোধ, হাসি-কান্নায় বিজড়িত স্মৃতি। দিনশেষে আমরা সবাই চাটগাঁইয়া - আমরা সবাই বাংলাদেশি এবং আমরা সবাই মানুষ।
আগামী ২০ অক্টোবর চট্টগ্রাম অ্যাসোসিয়েশনের আসন্ন নির্বাচন। এ উপলক্ষে আমরা সাজসাজ রবে আমাদের সুযোগ্য, সৎ নেতা চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান তাহের এবং আরিফকে নিয়ে আমাদের পরিষদ সাজাই। অপরপক্ষের নির্বাচনী তৎপরতা এবং কর্মকাণ্ডক সাদরে গ্রহণ করে সাধুবাদ জানাই। তাহের-আরিফ পরিষদ যোগ্যতা এবং মেধার ভিত্তিতে এগিয়ে আসা যেকোনো মানুষকে সুযোগ দিতে আগ্রহী।
বিবৃতিতে বলা হয়- নেতৃত্ব দিতে হলে কিছু কোয়ালিটির প্রয়োজন হয়, শুধুমাত্র পরিচিতি, চাটুকারিতা কিংবা মিষ্টিকথা - আবার পদ পদবি না পেলে বড়-ছোট তোয়াক্কা না করে যাকে তাকে যেকোনো মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হেনস্থা করা, এগুলো হলো মানসিকভাবে অপরিপক্কতার অন্যতম লক্ষণ। নিজের পরিবারের বিভিন্ন দাবি দাওয়া, অধিকার, দায়-দায়িত্ব অগ্রাহ্য করে - সমাজসেবার কাজে নিজেকে প্রমাণ করতে চাওয়া “ঘরে বাতি না জ্বালিয়ে অন্যস্থানে বাতি জ্বালানোর সামিল। নিজের ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ না করলে যেমন বড় কোনো লোন পাওয়া যায়না - ঠিক তেমনি পরিবারের প্রয়োজন না মিটিয়ে সমাজের প্রয়োজন মেটানো যায় না।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়- তাহের-আরিফ প্যানেলের ক্যাম্পেইনের একটি বিশেষ ইশতেহার হলো- নারীর ক্ষমতায়ন। সেই লক্ষ্যে আমরা আমাদের বিভিন্ন নির্বাচনী সভায় আমাদের নারী সদস্যদের আমন্ত্রণ করছি। তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আমরা ধন্য, বিনীত। একইধারায় গত ১১ অক্টোবর শুক্রবার ফিলাডেলফিয়ার স্ট্যামফোর্ড-এ আমাদের নির্বাচনী সভায়- রেহানা হানিফ, ফারহা চৌধুরী ও সিপিএ শ্রাবনী প্রমুখ বক্তব্য দেন। তারা সমাজে নারীদের অংশগ্রহণে বৈষম্যের কথা তুলে ধরেন। নিজেদের যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রাণ খুলে কথা বলেন। অ্যাসোসিয়েশন এ নির্বাচিত হলে তারা কি করতে চান এইসব অধিকার, দাবি দাওয়া উত্থাপন করেন। আর সংগঠনের প্রবীণ নেতারা তাদের ঐতিহ্যময় গৌরবগাঁথা দিয়ে কি করে তারা সংগঠনটি চালু করেছিলেন তা সবিস্তারে বর্ণনা করেন।
চট্টগ্রাম অ্যাসোসিয়েশান-এর মশাল সামনে এগিয়ে নেয়ার স্বপ্নে বিভোর নতুন প্রজন্মের কর্মীরা সেসব শুনছিলেন। সব মিলিয়ে একটি অভূতপূর্ব সুন্দর নির্বাচনী সভার পরদিনই জনৈক প্রার্থী বলেন যে তাহের-আরিফ পরিষদের নির্বাচনী সভায় ভাড়া করে বক্তা নিয়ে আসা হয় সমালোচনা করার জন্যে। এই বক্তব্য চট্টগ্রামবাসীর মুখে চপেটাঘাতের শামিল।
পেনসিলভেনিয়ার ফিলাডেফিয়ায় ঢাকা ক্লাবে মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রচণ্ড আবেগে অসুস্থ হয়ে পড়লে সভাপতি পদপ্রার্থী আবু তাহেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে তাহের-আরিফ প্যানেলের সকল নেতা কর্মী, চট্টগ্রামের সকল শ্রেণীর মানুষ, মিডিয়া কর্মীরা যখন উৎকণ্ঠিত তখন জনৈক সভাপতি প্রার্থী তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ পোস্ট দেন। এই সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টটির কারণে ইতিমধ্যেই সর্বমহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তাহের-আরিফ প্যানেল : নির্বাচনে নিজেদের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তাহের-আরিফ প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আরিফুল ইসলাম। নির্বাচনে জয়ী হলে চট্টগ্রাম সমিতিকে প্রবাসের একটি আধুনিক সংগঠনে পরিণত করার পাশাপাশি নিউইয়র্কে ‘চট্টগ্রাম কনভেনশন সেন্টার’ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেন তারা। বিভিন্ন গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন তাহের আরিফ প্যানেলের শীর্ষ দুই নেতা।
সভাপতি প্রার্থী আবু তাহের দূর্নীতিমুক্ত চট্টগ্রাম সমিতি গড়ে তুলবেন উল্লেখ করে বলেন, আমরা যদি দায়িত্ব পাই বিগত সময়ের মতো আমাদের কমিটিতে কোন আর্থিক অস্বচ্ছতা থাকবেনা। সমিতির যাবতীয় হিসাব নিকাশ প্রতি চার মাস পরপর উপযুক্ত অডিটের মাধ্যমে সবার সামনে উপস্থাপন করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়াও চট্টগ্রাম সমিতির মাধ্যমে চট্টগ্রামবাসীর কল্যাণের জন্য যা যা করা লাগে সেসব উন্নয়নমূলক কাজ করতে তাহের-আরিফ পরিষদ বদ্ধ পরিকর থাকবে বলেও জানান প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী আবু তাহের।
প্রবাসের বুকে মৃত ব্যক্তিদের কবরস্থ করার ও সার্বিক খরচ বহনের বিষয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রামের কোন লোক এখানে মারা গেলে কবরস্থ করা নিয়ে যে ঝামেলা থাকে আমরা সে সমস্যা সমাধান করব। অতীতেও সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আমরা মৃত ব্যক্তিদের বরাদ্ধ দিয়ে এসেছি, ভবিষ্যতেও মৃত ব্যক্তিকে কবরস্থ করাসহ যাবতীয় ব্যয় আমরা বহন করব।
সুষ্ঠু ভোটে জেতার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, ভোট যদি অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হয় তাহলে আমি বিপুল ভোটে জয়ী হব। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ভোটের আয়োজন করার পরও যদি আমি হেরে যাই, সে হার আমি মাথা পেতে নিয়ে জয়ীদের আমি নিজ হাতে বিজয়ের মালা পরিয়ে দিব। এসময় তিনি চট্টগ্রামবাসীকে আগামী ২০ অক্টোবর নিজ ভোটাধিকার প্রয়োগের আহবান জানান।
তাহের-আরিফ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ চট্টগ্রাম সমিতির সাথে যুক্ত আছি। আমি ও আমার প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী আবু তাহের আমরা বিশ্বাস করি আমরা চট্টগ্রামবাসীর সেবক। অতিতেও আমরা চট্টগ্রাম সমিতিতে থেকে জনগণের জন্য কাজ করেছি, মানুষের জন্য কাজ করেছি, চট্টগ্রামবাসীর জন্য কাজ করেছি। ২০ তারিখের নির্বাচনে আমরা পূর্ণ প্যানেলে ১৯ জনই জয়ী হওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
নিউইয়র্ক সিটির জ্যামাইকায় ইকরা পার্টি সেন্টারে ‘তাহের-আরিফ’ প্যানেলের আরেক পরিচিতি সভায় চট্টগ্রাম সমিতিকে প্রবাসের একটি আধুনিক সংগঠনে পরিণত করার পাশাপাশি ‘চট্টগ্রাম কনভেনশন সেন্টার’ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করা হয়েছে। পাশাপাশি কানেকটিকাটে আরো একটি ‘কনভেনশন সেন্টার’ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন বক্তারা। এতে প্রবাসী চট্টগ্রামবাসীদের ঢল নামে। সব বয়েসের চট্টগ্রামবাসীদের পদভার আর কোলাহলে অনুষ্ঠানস্থল মিলন মেলায় পরিণত হয়। চট্টগ্রাম সমিতির প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি আবদুর রহিম সভায় সভাপতিত্ব করেন। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং পবিত্র গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে সভা শুরু হয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি ও অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্য তারিকুল হায়দার চৌধুরী। সভা পরিচালনা করেন ‘তাহের-আরিফ’ প্যানেলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য-সচিব কামাল হোসেন মিঠু।
অনুষ্ঠানে প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার সময় উপস্থিত চট্টগ্রামবাসী করতালির মাধ্যমে ‘তাহের আরিফ’ পরিষদের প্রতি তাদের অকুণ্ঠ সমর্থন ব্যক্ত করেন। সভায় বক্তব্য রাখেন সমিতির সাবেক সভাপতি এবং ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হানিফ, সাবেক সভাপতি কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজম, সাবেক সভাপতি সারওয়ার জামান সিপিএ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুনির আহমেদ, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী, সাবেক নির্বাচন কমিশনার এবং উপদেষ্টা আবু তালেব চৌধুরী চান্দু, মূলধারার রাজনীতিক ও সমিতির আজীবন সদস্য খোরশেদ খন্দকার, হাটহাজারী উপজেলা চেয়ারম্যান (সাবেক) রাশেদুল আলম, সাবেক ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ রফিক আহমেদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক আফতাব মান্নান, আজীবন সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, মিরেশ্বরাই সমিতির সাবেক সভাপতি জিএম ফারুক, সমিতির আজীবন সদস্য ও অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্য আবুল কাশেম (চট্টল কাশেম), চবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনে ইউএসএ’র সভাপতি অধ্যাপক সোলায়মান, ব্যাংকার ফজলুল কাদের চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ, নুর মোহাম্মদ সওদাগর, মিরসরাই সমিতি ইউএসএ’র সভাপতি মেজবা আহমেদ, চট্টগ্রাম সমিতির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ চৌধুরী, আজীবন সদস্য শওকত হোসেন, আবদুল করিম, মোহাম্মদ ঈসা, অজয় বড়ুয়া, মুরাদুল আলম, আক্তার হোসেন, কালাম চৌধুরী প্রমুখ।
এছাড়া সভায় সমিতির প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য মোহাম্মদ আমিন, মীরসরাই সমিতির উপদেষ্টা আবু তাহের, জাকির হোসেন, আবু তাহের, নুরুল কবির ননা মিয়া, ইলিয়াছ, আরিফ হোসেন আরিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে, মাকসুদ-মাসুদ প্যানেলের পরিচিতি সভা ৬ অক্টোবর রবিবার সন্ধ্যায় ওজনপার্কের আবদুল্লাহ ব্যাঙ্কুয়েট হলে অনুষ্ঠিত হয়। বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোহাম্মদ জাফর আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং চট্টগ্রাম সমিতির সাবেক সভাপতি মো. আহসান হাবিবের পরিচালনায় এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যতম সদস্য ও চট্টগ্রাম সমিতির ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক কো-চেয়ারম্যান শাহাজাহান সিরাজী। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সমিতির সাবেক সভাপতি সিপিএ সরওয়ার চৌধুরী, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হাসান চৌধুরী, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ইঞ্জিনিয়ার মো জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক উপদেষ্টা ও সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হাজী শফিউল আলম, মিরসরাই সমিতির উপদেষ্টা সেলিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেহবুবর রহমান বাদল, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মো. জসিম উদ্দীন, সাধন কর, মিরসরাই সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিফুর রহমান, রবিউল ইসলাম মিল্টন, মিরসরাই সমিতি ইউএসএ’র উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দীন, জয়নাল আবেদিন জাহাঙ্গীর, সাতকানিয়া সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাসেম, আনোয়ারা বারখাইন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান একেএম শাহাজাহৈন চৌধুরী, চট্রগ্রাম সমিতির সাবেক সভাপতি আবদুল হাই জিয়ার সহোদর আবু মুছা, মিরসরাই সমিতির সাবেক সভাপতি আমজাদ হোসেন ভুঁইয়া, আজীবন সদস্য নাছির উদ্দীন নাদের, কক্সবাজারের কৃতি সন্তান মোহাম্মদ মন্নান, আবদুল হামিদ, আনোয়ার চৌধুরী, এড আবু তাহের আবদুল হালিম, মহিউদ্দীন, মোহাম্মদ মিল্লাত, লুলু বডুয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বিপুল চট্টগ্রামবাসীর উপস্থিতিতে মাকসুদ-মাসুদ পরিষদের প্রার্থীদের পরিচিত করিয়ে দেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেহবুবর রহমান বাদল। সভায় অথিতিবৃন্দ ছাড়াও সভাপতি প্রার্থী মাকসুদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মাসুদ সিরাজী, সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রার্থী মুকতাদির বিল্লাহ ও সহ-সভাপতি প্রার্থী মওলানা আইয়ুব আনসারী বক্তব্য রাখেন।