হাকিকুল ইসলাম খোকন : যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নামে ১৪ই এপ্রিল ডাকা সভা অবৈধ ও অসাংগঠনিক আখ্যায়িত করে সংগঠনটির ৯৯ সদস্য যৌথ বিবৃতিতে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের মেয়াদোত্তীর্ণ (২০১১-২০১৪) কমিটির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান আবারো পদ-পদবীর লোভ দেখিয়ে কমিটি বানিজ্য করতে আগামী ১৪ই এপ্রিল ২০২৪ ইং রবিবার এক বর্ধিত সভার ডাক দিয়েছেন এবং ডা. মাসুদুল হাসানকে ইতোমধ্যে সহ সভাপতি হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে, যাকে ইতিপূর্বে হাইকমান্ডের নির্দেশে বহি:স্কার করা হয়েছিলো এবং তা এখনও বহাল আছে। আগেও সে হাইকমান্ডের দোহাই দিয়ে কমিটিতে সহ সভাপতি, যুগ্ম সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, বিভাগীয় সম্পাদক ইত্যাদি শতাধিক পদ-পদবী দিয়ে ভরে ফেলেছিলেন, কিন্তু আদতে তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। এরপর অবৈধভাবে আব্দুস সামাদ আজাদকে সাধারন সম্পাদক হিসেবে পদায়ন করেছেন, যা অবৈধ ও অসাংগঠনিক।
বিগত ১৩ বছর যাবৎ ড. সিদ্দিকুর রহমান সম্পুর্ণ অগঠনতান্ত্রিক ও স্বেচ্ছাচারিতা- মূলকভাবে সংগঠনকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন অন্যান্য সহযোগী ও অঙ্গসংঠন গুলোকেও ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করেছেন।আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বারবার সন্মেলনের জন্যে নির্দেশ দেয়া সত্বেও দূ’বার সন্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠনের জন্যে মিটিং ডেকেও ষড়যন্ত্র করে নিজস্ব ভাড়াটে দিয়ে গন্ডগোলের মাধ্যমে তা স্থগিত করে এবং অদ্যাবধি সন্মেলন না ডেকে লাজ-লজ্জাহীন সিদ্দিকুর রহমান ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে শেষ চেস্টা করছেন। ড. সিদ্দিক এক সভায় বলেছেন, শেখ হাসিনা, সজিব ওয়াজেদ জয় ও তিনি আওয়ামী লীগ চালান। আরও বলেছেন, শেখ হাসিনা ৪০ বছর যাবৎ দলের সভাপতি থাকতে পারলে তিনি কেন পারবেন না? বিগত ২০১৭ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নাগরিক সংবর্ধনা সভায় ‘নো-মোর সিদ্দিক’ ‘ভূয়া ভূয়া’ স্লোগানে স্লোগানে হাজারো কন্ঠের প্রতিবাদের পর আর কোন সভায় সভাপতিত্ব করতে পারে নাই বা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তা করতে দেন নাই।
এমতাবস্থায় সংগঠনের কার্যকরী কমিটির নিম্নলিখিত নেতৃবৃন্দ সিদ্দিকুর রহমানের নতুন ফন্দি-ফিকির ও এহেন দূরভিসন্ধিমূলক অসাংগঠনিক কাজের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং যে কোন অঘটনের সকল দ্বায়দায়িত্ব সিদ্দিকুর রহমানের উপর বর্তাবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করছেন । তারা আশা পোষণ করছেন যে মুহুর্তে দেশ-বিদেশে বিএনপি-জামাতের অব্যাহত ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও সরকার উৎখাতের পশ্চিমা কিছু দেশের হীন প্রচেস্টা এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের লবিং চলছে। সেই সময়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নকারী কোন ধরণের নেগেটিভ নিউজ-ভিউজ করা থেকে তিনি বিরত থাকুন এবং আগামী সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানকালীন সময়ে সন্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের জন্যে মূলতবীকৃত সন্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিতে এবং নতুন কমিটির মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সংগঠনকে গঠনতন্ত্র মোতাবেক চলার সূযোগ সৃষ্টির উদাত্ত্ব আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবৃতিদানকারী কার্যকরী কমিটির নেতৃবৃন্দঃ
১। সহ সভাপতি এম ফজলুর রহমান, ২। সহসভাপতি আখতার হোসেন, “ ৩। সহ সভাপতি সৈয়দ বসারত আলী, “৪। সহ সভাপতি মাহবুবুর রহমান, “৬।সহ সভাপতি ডা. মোহাম্মদ আলী মানিক “ ৭।যুগ্ম সম্পাদক নিজাম চৌধুরী,৮।যুগম সাধারন সম্পাদক আইরিন পারভীন, “ “৯। সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম বাদশাহ, ১০।সাংগঠনিক সম্পাদক চন্দন দত্ত, “ “ ১১। সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান, “ “১২।সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাসিব মামুন, “ ১৩।আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট শাহ মো: বখতিয়ার আলী, ১৪। তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জালাল উদ্দিন রুমী, ১৫।দফতর সম্পাদক প্রকৌকশলী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, ১৬। জনসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক কাজী কয়েস আহমেদ, ১৭। শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এম এ করিম জাহাঙ্গীর, ১৮। সাংস্কৃতিক সম্পাদক শহীদ হাসান,১৯।বন ও পরিবেশ সম্পাদক নুর আলম চৌধুরী,২০॥ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ড.আরিফ চৌধুরী রুবেল,২১।স্বাস্থ্য সম্পাদক ডাঃআবদুল বাতেন, ২২।মুক্তিযোদ্ধা সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম, ২৩।মানবাধিকার সম্পাদক মিসবাহ আহমেদ, ২৪।কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুজ্জামান, ২৫।শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক ফরিদ আলম, ২৬।যুব ও ক্রিড়া সম্পাদক মাহবুবুর রহমান টুকু, ২৭।এান এ সমাজকল্যাণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, ২৮।আন্তর্জাতিক সম্পাদক দেওয়ান বজলু চৌধুরী,২৯। মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শিরিণ আক্তার দিবা, ৩০।ইমিগ্রেশন সম্পাদক এডভোকেট মামুন, ৩১।কোষাধ্যক্ষ আবুল মনসুর খাঁন, ৩২।কার্য্যকরী সদস্য জেনী চৌধুরী, ৩৩।শরাফ সরকার, “ “ ৩৪।হিন্দাল কাদির বাপ্পা, “ “ ৩৫।আসাফ মাসূক, “ “ ৩৬।আতাউল গণি আসাদ, “ “৩৭।আলী হোসেন গজনবী, “ “৩৮।শরীফ কামরুল আলম হীরা, “ “৩৯।কায়কোবাদ খাঁন, “ “৪০। এম. আনোয়ার, “ “৪১।কাজী আজিজুল হক খোকন, “ “৪২।হোসেন সোহেল রানা, “ “৪৩।সূজন আহমেদ সাজু, “ “৪৪।মোস্তফা কামাল পাশা, “ “৪৫।কামাল উদ্দিন, “ “৪৬।ওহিদুর রহমান মুক্তা, “ “৪৭।আমীনূল ইসলাম কলিন্স, “ “৪৮।রেজাউল করিম চৌধুরী, “ “৪৯।আজিজুর রহমান সাবু, “ “৫০।নূরুল আফসার সেন্টু, “ “৫১।এম এ আলম বিপ্লব, “ “৫২।জুয়েল আহমেদ, “ “৫২।নুরুল আমিন কোতোয়াল, “ “৫৩।নূরে আলম চৌধুরী, “ “৫৫।মুজিবুল মাওলা, “ “৫৬।হারুন আহমেদ, “ “৫৮। সামসুল আবেদীন, “ “৫৮।শামীমা তরফদার সূইটি, “ “৫৯।খোরশেদ খন্দকার, “ “৬০।গাজী মো: আলী লিটু, “ “৬১। আজহারুল ইসলাম লিটন, “ “৬২।ইকবাল কবির, “ “৬৩।মইনুল হোসেন, “ “৬৪।রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী, “ “৬৫।আক্তার আহমেদ চৌধুরী, “ “৬৬।নুর নবী চৌধুরী, “ “৬৭।শাহান চৌধুরী, “ ৬৮।আব্দুল হামিদ, “ “৬৯।।আলাউদ্দীন জাহাঙ্গীর, “ “৭০।মোহাম্মদ মহসিন রিপন, “ “৭১।মীর নিজামুল হক, “ “৭২।রফিকুল ইসলাম খাঁজা, “ “৭৩।আবুল কাশেম, “ “৭৪। টিটু রহমান“ “৭৫।আনোয়ার হোসেন।
উপদেষ্ঠামন্ডলী
১। অধ্যাপক খালিদ হাসান ২। ড. নুরান নবী ৩। ড. মহসিন আলী ৪। ড. খন্দকার মনসুর ৫। ড. শাহজাহান মাহমুদ ৬। ড. লুৎফর রহমান ৭। ড. সৈয়দ আবু হাসনাত ৮। ড. বামন দাস বসু ৯। ড. রায়হান সাদী ১০। ড. প্রদীপ রন্জন কর ১১। জাহানারা হাসান ১২। হাজী শফিকুল আলম ১৩। ড. অসীত সরকার ১৪। মোস্তাইন দারা বিল্লাহ ১৫। সিনিয়রসাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন ১৬। সাইফুল ইসলাম রহিম ১৭। আলী হোসেন কিবরিয়া অনু ১৮। শরীফ শাহাবুদ্দীন ১৯। তোফায়েল চৌধুরী ২০। রমেশ চন্দ্র নাথ ২১। বদরুল হোসেন খাঁন ২২। মোহাম্মদ হানিফ ২৩। শওকত আকবর রিচি ২৪। জয়নাল আবেদীন।