নিউইয়র্কে আলেমদের মতবিনিময় : সকল মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশের আলেম সমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের পক্ষে দাড়াতে হবে
নিউজ২৪ইউএসএ.কম ডেস্ক, নিউইয়র্ক : বাংলাদেশ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা একের পর এক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশটিকে অস্থিতিশীল করে তুলতে চাইছে। বাংলাদেশের পরীক্ষিত শত্রুরা বাইরে বসে বাংলাদেশকে অশান্ত করে তুলবার মাধ্যমে তাদের আধিপত্য পুন:বিস্তার করতে চায়। এই অবস্থায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং ধর্ম-বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে সকল মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশের উলামায়ে কেরামকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের পক্ষে দাড়াতে হবে।
গতকাল ২৯ নভেম্বর শুক্রবার, নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত আলেম-উলামার এক মতবিনিময় সভায় বক্তাগণ উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিক, মুহাদ্দিসে গাজিনগরী ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট শায়খ হাম্মাদ গাজিনগরীর আহ্বানে অনুষ্ঠিত এই সবায় বক্তব্য রাখেন, ইউনাইটেড ইমাম এন্ড উলামা কাউন্সিল অব নিউইয়র্ক-এর প্রেসিডেন্ট শায়খ রফিক আহমদ রেফাহি, দারুল কুরআন ওয়াস সুন্নাহ নিউইয়র্ক-এর মুহাদ্দিস মাওলানা ইব্রাহীম আলী কাসেমী, দারুল হাদিস লতিফিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবুল কাশেম ইয়াহইয়া, আইটিভির সিইও প্রফেসর মাওলানা শহীদুল্লাহ, লেখক রশীদ জামীল, মাওলানা ফাহাদ আমান, মাওলানা শেখ সাজ্জাদুর রহমান, মাওলানা মশকুর আহমদ, হাফিজ মাওলানা নাজমুল হাসান নুমান, আহমদ জারীর প্রমুখ।
দারুল আহনাফ নিউইয়র্ক-এর প্রিন্সিপাল মাওলানা হামিদুর রহমান আশরাফের সঞ্চালনায় ‘বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট ও ইসলামী রাজনীতি’ শীর্ষক এই মতবিনিময় অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক শায়খ হাম্মাদ গাজিনগরী দেশের অবস্থা তুলে ধরে বলেন, ঊনিশ শ একাত্তরের আমাদের স্বাধীনতার মূল স্পৃহা ছিল ইসলাম। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের মূল স্পৃহাও ছিল ইসলাম। আর ইসলামের অতন্দ্র প্রহরী হলেন উলামায়ে কেরাম। সুতরাং, বাংলাদেশ উলামায়ে কেরামের হাতেই নিরাপদ। তিনি বাংলাদেশের উলামায়ে কেরামকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশরক্ষায় ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই সংকটকালে আলেম সমাজ যদি পরস্পর হাতে হাত না রাখতে পারেন, তাহলে ইতিহাস তাদেরকে ক্ষমা করবে না।
সবায় বক্তাগণ বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা কোনো রকম বিদেশি সাহায্য ছাড়া বাংলাদেশেকে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করেছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে আমরা লক্ষ্য করছি এখনো বাংলাদেশের কিছু কিছু দল ক্ষমতায় যাবার জন্য এখন থেকেই বিদেশিদের তোষণ করতে শুরু করেছে। বিশেষত কিছু নির্লজ্জ নেতা বাংলাদেশের পরীক্ষিত শত্রু ভারতকে খুশি করে কথা বলছেন। আজকের সভা থেকে আমরা অত্যন্ত পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, চব্বিশের বাংলাদেশ একটি নতুন বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশের দিকে আর কোনো আধিপত্যবাদী গোষ্ঠীকে চোখ তুলে তাকাতে দেওয়া হবে না। এই বাংলাদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদকে আবারও কেউ আমন্ত্রণ জানাতে চাইলে তাকেও বাংলাদেশের মানুষ বাংলাদেশ থেকে ঝাটিয়ে বিদায় করবে।