অ্যালায়েন্স অব সাউথ এশিয়ান আমেরিকান লেবার-অ্যাসাল’র ১৬ তম বার্ষিক কনভেনশন : জাতীয় নির্বাচনে দক্ষিণ এশিয়ান আমেরিকানদের জোরালো ভূমিকায় অবতীর্ণ হবার সংকল্প (ভিডিও সহ)
নিউজ২৪ইউএসএ.কম ডেস্ক, নিউইয়র্ক : ‘আওয়ার ওয়ার্ক স্ট্রেন্থ – ২০২৪ প্রেসিডেন্ট ইলেকশান’ এ শ্লোগানকে সামনে নিয়ে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হয়েছে অ্যালায়েন্স অব সাউথ এশিয়ান আমেরিকান লেবার-অ্যাসাল’র ১৬ তম বার্ষিক কনভেনশন। গত ২ ডিসেম্বর শনিবার বিকেল্য ২টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত ব্রুকলীন ম্যারিয়ট হোটেলের বিশাল হল রুমে এ কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে দক্ষিণ এশিয়ান আমেরিকানদের আরো জোরালো ভূমিকায় অবতীর্ণ হবার সংকল্প ব্যক্ত করা হয় এবারের কনভেনশনে।
উৎসবমুখর পরিবেশে যুক্তরাষ্ট্রে মূলধারায় দক্ষিণ এশিয়ার ৮ দেশীয় ইমিগ্র্যান্টদের একমাত্র সংগঠন অ্যাসালের এ ব্যতিক্রমী মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়। রেকর্ড সংখ্যক জনপ্রতিনিধি সহ দক্ষিণ এশিয় ইমিগ্র্যান্টদের সরব উপস্থিতিতে বিশাল হল রুম ছিল মুখরিত। খবর ইউএসএনিউজঅনলাইন.কম’র।
কনভেনশনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অ্যাসালের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ও প্রতিষ্ঠাতা মূলধারার প্রখ্যাত লেবার ইউনিয়ন লিডার মাফ মিসবাহ উদ্দিন।
কনভেনশনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অ্যাসালের ১৬ তম বার্ষিক কনভেনশন কমিটির চেয়ার ও ইয়েল ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের রিসার্চ সায়েন্টিস্ট অধ্যাপক ড. গোলাম এম আই চৌধুরী ইকবাল, এম.এস. (মেড), পিএইচডি।
কি নোট স্পিকারের বক্তব্য রাখেন মার্কিন সিনেটর ক্রিস্টিন জিলিব্রান্ড। প্রধান অতিথি ছিলেন নিউইয়র্ক সিটি কম্পট্রোলার ব্র্যাড ল্যান্ডার।
অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন অ্যাসালের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট মাফ মিসবাহ উদ্দিন ও ন্যাশনাল সেক্রেটারী এম করিম চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জর্জিয়ার স্টেট সিনেটর শেখ রহমান, নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন ল্যু, নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর ন্যাথালিয়া ফার্নান্দেজ, এসেম্বলিওম্যান কারিনা রেস, এসেম্বলিম্যান রন কিম, অ্যাসেম্বলিম্যান জাহরান মামদানি, কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণান, কাউন্সিলমেম্বার লিন্ডা লি, কাউন্সিলমেম্বার ফারাহ লুইস, এনএএসিপি’র নিউইয়র্ক সিটি প্রেসিডেন্ট অ্যান্থনি হারমন, এনওয়াইসি লেবার কাউন্সিল ফর ল্যাটিন আমেরিকান অ্যাডভান্সমেন্ট’র এনওয়াইসি প্রেসিডেন্ট পেড্রো এ কার্ডি, এনওয়াইসি কোয়ালিশন অব ব্ল্যাক ট্রেড ইউনিয়নিস্ট এর প্রেসিডেন্ট চার্লস জেনকিনস, পাবলিক এমপ্লয়ি ফেডারেশনেনর ভাইস প্রেসিডেন্ট শ্যারন ডিসিলভা ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ডারলিন উইলিয়ামস, লোকাল ১৯৩০’র প্রেসিডেন্ট ডেবরা উইলিয়ামস সহ মূলধারার নির্বাচিত কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ এবং শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।
কনভেনশনে অতিথিরা ছাড়াও অ্যাসাল’র বিভিন্ন চ্যাপ্টারের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। তারা তাদের নিজ নিজ নেতৃত্বকে পরিচয় করিয়ে দেন এবং ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন।
এর মধ্যে ইউএস ক্যাপিটাল চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট শরাফাত হোসেন, কুইন্স চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট কাজি ফরিদ আহমেদ, ব্রঙ্কস চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ তাহমিদুল হক, ব্রুকলিন চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট ডা. মুজিবুর রহমান মজুমদার, স্ট্যাটান আয়ল্যান্ড চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট ইরাশাদ শেখ, নিউজার্সি চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট মো. ফারুক হোসেন, মিশিগান চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মো. আলী রেজা, পেনসিলভানিয়া চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট শাহ এম গোলাম কাদের, নিউইয়র্ক স্টেট ক্যাপিটাল রিজিয়ন চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট মিজানুর রহমান, জ্যাকসন হাইটস চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট সোমনাথ ঘিমিরি, মেরিল্যান্ড চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট কবিরুল ইসলাম, রিচমন্ড হিল চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট আলবার্ট বাল্ডিও, লং আইল্যান্ড চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট ডা. মুজিবুল হক, হেল্থকেয়ার চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট ড. রফিক আহমেদ নিজ নিজ চ্যাপ্টারের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন এবারের কনভেনশনে। বিভিন্ন চ্যাপ্টারের কর্মকর্তাদের মধ্যে মো. রাব্বি আলম, সাহানা বেগম, আদান ইসলাম, মোঃ আলাউদ্দিন, সুলতানা খানম, মাসুদ রানা তপন, হাসান আলী, গোলাম ফারুক শাহীন, এ এস এম মাইন উদ্দিন পিন্টুসহ বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার বক্তব্য রাখেন।
কনভেনশনে সরাসরি উপস্থিত থাকতে না পেরে বাণি পাঠান নিউইয়র্কের গভর্ণর ক্যাথি হোকুল, ইউএস সিনেটর চার্লস ই. শুমার, কংগ্রেসম্যান হাকিম জেফরি, নিউজার্সির গভর্ণর ফিলিপ ডি. মারফি, নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস স্টেট কম্পট্রোলার থমাস পি. ডিনাপোলি, অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস, স্টেট সিনেটর আন্দ্রিয়া স্টুয়ার্ট কাজিনস, স্পিকার কার্ল ই হিস্টি।
কনভেনশনের শুরুতে শপথ বাক্য পাঠ করান অ্যাসাল স্ট্যাটেন আইল্যান্ড চ্যাপ্টারের ইউথ কমিটির মিনহা মাহজাবীন। সবশেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ড. রফিক আহমেদ।
স্বাগত বক্তব্যে অ্যাসালের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ও প্রতিষ্ঠাতা মাফ মিসবাহ উদ্দিন অ্যাসাল’র লক্ষ্য ও কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরে বলেন, এবারের থিম ‘আওয়ার ওয়ার্ক স্ট্রেন্থ – ২০২৪ প্রেসিডেন্ট ইলেকশান’। মূলধারার রাজনীতিতে দক্ষিণ এশীয়দের অবস্থান আরো সুসংহত করতে অ্যাসাল]র দৃঢ় প্রত্যয়ের কথা পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, বাংলাদেশিসহ দক্ষিণ এশিয়রা যাতে নিজ নিজ অধিকার ও মর্যাদা সুসংহত রাখতে পারেন সে লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে ‘অ্যাসাল’।
তিনি বলেন, অ্যাসাল ক্রমবর্ধমান বাংলাদেশীসহ দক্ষিণ এশিয়ানদের বিভিন্ন যৌক্তিক দাবি জোরালোভাবে তুলে ধরছে। ইমিগ্র্যান্টদের নানা ইস্যুগুলো জনপ্রতিনিধিদের ইস্যুতে পরিণত করে তা বাস্তবায়নে কাজ করছে অ্যাসাল। আমরা যেসব সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি কিন্তু তা সমাধান করতে পারছি না নির্বাচিত কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সেসব সমস্যা সমাধানে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি অ্যাসাল’র ২০ চ্যাপ্টারের নানা কর্মকান্ডের স্বীকৃতি দিয়ে বলেন, সদস্যদের কঠোর পরিশ্রমের ফলেই আজকের এ অবস্থানে আসতে সক্ষম হয়েছে অ্যাসাল। তবে আমাদের আত্মতৃপ্তির সুযোগ নেই, আমাদের আরো অনেক দূর এগিয়ে যেতে হবে।
মাফ মিসবাহ উদ্দিন অ্যাসালের আমন্ত্রণে কনভেনশনে যোগদানের জন্য সকলের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।
কি নোট স্পিকারের বক্তব্যে অ্যাসাল’র ভূয়সী প্রসংশা করে ইউএস সিনেটর ক্রিস্টিন জিলিব্রান্ড বলেন, অ্যাসাল ইমিগ্রান্ট কমিউনিটির ঐক্য প্রতিষ্ঠা ও তাদের এগিয়ে নিতে কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্রে শ্রম পরিবেশ উন্নয়ন, শ্রমিকের ন্যয্য মজুরি আদায়ের লড়াইয়ে অ্যাসালের অবদান তুলে ধরেন তিনি। আসালকে ধন্যবাদ জানান অধিকার আদায়ের সংগ্রামে জনপ্রতিনিধিদের পাশে থাকার জন্য।
মার্কিন সিনেটর ক্রিস্টিন জিলিব্রান্ড বলেন, “অ্যাসাল জানে আমরা তাদের ভালোবাসি, আমরা তাদের সাথে আছি এবং তারা আমাদের সম্প্রদায়ের জন্য এবং বিশেষ করে দক্ষিণ এশীয় সম্প্রদায়ের জন্য যা করে আমরা তার প্রশংসা করি। আপনাদের সমস্যার সমাধান নিশ্চিত করতে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব। তিনি বলেন, দক্ষিন এশিয়ার প্রবাসীরা পরিশ্রমী। পরিবার বান্ধব এই কমিউনিটি আমেরিকান সোসাইটিতে ব্যাপক অবদান রাখছে। দিনদিন তারা মূলধারার রাজনীতিতে শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলছে। অ্যাসাল এশিয়ান কমিউনিটির মুখপাত্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। নিজেদের কণ্ঠস্বরকে আরও শক্তিশালী করতে কমিউনিটির সবাইকে ভোটার হওয়া ও ভোট দেবার জন্যও আহবান জানান সিনেটর ক্রিস্টিন জিলিব্রান্ড।
মার্কিন সিনেটর ক্রিস্টিন জিলিব্রান্ড বলেন, “অ্যাসাল আমার পুরানো বন্ধু, আমরা এর আগেও একসাথে কাজ করে ছিলাম। আমি ইউনিয়নের মেম্বার ছিলাম, আমি ইউনিয়নকে চিনি, আমি শ্রমিক আন্দোলনের অংশ ছিলাম, চুক্তির আলোচনা স্থির হবে, একসাথে আমরা এই সিটিকে এগিয়ে নিয়ে যাব।” তিনি বলেন, আমরা নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছি এবং এটি উন্নত হচ্ছে, আমরা জানি নিরাপত্তা এবং নিরাপত্তা আমাদের জনগণের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের অর্থনীতি উন্নত হচ্ছে, লোকেরা পূর্ণকালীন চাকরি শুরু করছে এবং আমাদের সিটি ব্যবসার জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে। আমাদের কমিউনিটি যে সমস্ত সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে আমরা একসাথে তার সমাধান করব।
উদ্বোধক কনভেনশন কমিটির চেয়ার অধ্যাপক ড. গোলাম এম আই চৌধুরী ইকবাল সকলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, কনভেনশন কমিটির চেয়ার হিসেবে ১৬তম বার্ষিক কনভেনশনের উদ্বোধন করার সৌভাগ্য হলো আমার। এজন্য আমি সম্মানিত বোধ করছি। অ্যাসাল নেতাদের, বিশেষ করে কিংবদন্তি শ্রমিক নেতা প্রতিষ্ঠাতা মাফ মিসবাহ উদ্দিনকে অভিনন্দন জানাই। অ্যাসাল আমেরিকা জুড়ে কমিউনিটির জন্য যা করছে তা অতুলনীয়। এ আন্দোলন জোরদারে সবার সাহায্য করা উচিত। আমি সবাইকে এ আন্দোলনে সম্পৃক্ত থাকতে এবং এর সাফল্যে অবদান রাখার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
সেক্রেটারী এম করিম চৌধুরী কনভেনশনে বিগত বছরের কার্যক্রম তুলে ধরে অ্যাসালের ন্যাশনাল কমিটিসহ বিভিন্ন চ্যাপ্টারের কর্মকর্তাদের পরিচয় করিয়ে দেন। এসময় তিনি ১০ স্টেটের ২০ চ্যাপ্টারের কার্যক্রমের বিবরণ তুলে ধরেন।
করিম চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, “আমাদের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মাফ মিসবাহ উদ্দিনের একটি দৃষ্টিভঙ্গি ছিল এবং তিনি আমাদের সম্প্রদায় এবং মূলধারার রাজনীতির মধ্যে সেতু হিসেবে অ্যাসালকে তৈরি করেন। তিনি যা কল্পনা করেছিলেন আজ আমেরিকা জুড়ে তা বাস্তবে রূপ নিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা যদি আরও কঠোর পরিশ্রম করতে থাকি তাহলে এমন একটি আমেরিকা তৈরি করতে পারব যেখানে প্রতিটি দক্ষিণ এশিয়ান তাদের আমেরিকান স্বপ্ন পূরণ করতে সক্ষম হবেন।”
সিনেটর শেখ রহমান বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ নেই বলে অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। সকলে ঐকবদ্ধ থাকলে বড় কিছু অর্জন করা সম্ভব। তিনি বলেন, আমরা অনেকেই মানবিকতার সাফাই গাই, অথচ গাজায় নির্বিচারে শিশু, নারীসহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদেরকেও বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।
এবারের কনভেনশনে অ্যাসাল’র পক্ষ থেকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় স্টেট অ্যাসেম্বলিম্যান মাইকেল কিউসিক, নিউইয়র্ক সিটি সেন্ট্রাল লেবার কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ভিনসেন্ট আলভারেজ, টিডব্লিউইউ লোকাল ১০০ এর প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডেভিস ও জুমা জেনিফার (মরনোত্তর)কে।
মেয়রের পক্ষ থেকে এবারের কনভেনশনে সাইটেশন দেওয়া হয় অ্যাসাল’র ন্যাশনাল সেক্রেটারি মোহামেদ করিম চৌধুরী ও ব্রুকলিন চ্যাপটারের পলিটিক্যাল ডাইরেক্টর মো. আজিজুল হককে। ১৬ তম বার্ষিক কনভেনশন উপলক্ষে অ্যাসাল তথ্য সমৃদ্ধ একটি বিশেষ জার্নাল প্রকাশ করে।
বর্ণাঢ্য এ অনুষ্ঠানে মূলধারার রাজনীতিক, নিউইয়র্ক স্টেট ও সিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচিত প্রতিনিধি, কর্মকর্তা, শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, কমিউনিটি লিডার, সাংবাদিক, অ্যাসাল সদস্য সহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী অংশগ্রহণ করেন।