Today Is- Wednesday-15 May 2024

নিউইয়র্কে নোয়াখালী সোসাইটি ইউএসএ বাংলাদেশিদের জন্য বৃহত্তম কবরস্থানের ব্যবস্থা করছে

নিউজ২৪ইউএসএ.কম ডেস্ক, নিউইয়র্ক : নিউইয়র্কে বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটি ইউএসএ বাংলাদেশিদের জন্য একক সর্ববৃহৎ কবরস্থানের জমি ক্রয় করেছে। নিউইয়র্কের আপস্টেটের মিডল টাউনে ১২৬ একর যায়গা কেনা হয়েছে। ১ লাখ কবরের স্থান হবে ‘বাংলাদেশ সেমিটারি’ নামক এ কবরস্থানে। জমির মূল্য ও উন্নয়ন খরচসহ এই সেমিটারের মূল্য প্রায় ৩ মিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। সিটি থেকে মিডল টাউনের দুরত্ব ৭০ মাইল। এ বছরের শেষ দিকেই প্রায় ৪০ হাজার কবরের স্থান তৈরি হয়ে যাবে। অবশিষ্ঠ ৬০ হাজার কবরের স্থান তৈরি হতে আরও বছর খানেক লাগতে পারে। প্রয়োজনে আরও সম্প্রসারনও করা যাবে কবরস্থান।


ইতোমধ্যে টাউন প্লানিং বোর্ডের অনুমোদন মিলেছে। এই সেমিটারি প্রোজেক্টের দায়িত্ব পালন করছেন নোয়াখালী সোসাইটির সাবেক সাধারন সম্পাদক জাহিদ মিন্টু। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের একক কোন সেমিটারি নেই। আমাদের কেউ মারা গেলে কবরস্থান খুঁজতে কখনো আমরা লং আইল্যান্ড, কখনো নিউজার্সিতে দৌড়াই। নোয়াখালী সোসাইটির উদ্যোগে এই সেমিটারি কেনা হলেও এটি হবে সকল বাংলাদেশিদের জন্য। নাম হবে ‘বাংলাদেশ সেমিটারি’। যেকোন জেলা কিংবা উপজেলা সংগঠন এখানে কবর কিনতে পারবে। কোন বাংলাদেশি মারা গেলে ব্যক্তিগতভাবেও যেকেউ কবর কিনতে পারবেন। এটি হবে মুসলিম কবর স্থান। মুসলিম কৃষ্টি ও চিন্তাধারায় এটি পরিচালিত হবে।
জাহিদ মিন্টু বলেন, আমরা নিউইয়র্ক, নিউজার্সি ও লং আইল্যান্ডসহ ৭টি যায়গা দেখেছিলাম। দুরত্ব, মাটির নীচে পানির স্তর, মাটির কোয়ালিটি ও সেমিটারির আয়তনের বিষয়টি বিবেচনা করেই মিডল টাউনকে বেছে নেয়া হয়েছে। সিটি থেকে মাত্র দেড় ঘন্টায় অনায়াসে পৌঁছানো যায়। সেমিটারির ভেতরে একটি ভবন তৈরি করা হবে। সেখানে অফিসসহ নানা সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা থাকবে। বাংলাদেশিরা সেখানে গিয়ে নিজেদের ঠিকানা খুঁজে পাবেন। মিন্টু বলেন, এই প্রোজেক্ট বাস্তবায়নের জন্য নোয়াখালী সোসাইটির সভাপতি নাজমুল হোসেন মানিক,সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফ জসিম ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হাজি মফিজুর রহমানসহ পুরো কমিটি আমাকে সহায়তা করছেন। এ জন্য তাদের কাছে আমি ঋনী। সহসাই এই সেমিটারি প্রোজেক্টের বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আমরা কমিউনিটর সামনে উপস্থিত হবো।

CATEGORIES
Share This